বাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম হন দু’জন। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়। এর একঘণ্টা পরেই বাঘঘরার জঙ্গল থেকেই উদ্ধার হয় বাঘের দেহ। ঘটনাস্থলে গিয়ে বনকর্মীরা দেখেন বাঘটিকে বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে মারা হয়েছে। এই বাঘঘরার জঙ্গল থেকেই গত কয়েকদিন আগে পালিয়ে গিয়েছিল বাঘটি।
advertisement
মাস দেড়েক ধরে লালগড় ও পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পায়ের ছাপে বারবারই তার অস্তিত্ব জানান দিয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল। বাঘটিকে ধরতে খাঁচা ও টোপও দেয় বন দফতর। কিন্তু কোনও কিছুতেই বাগে আসেনি বাঘ। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন এলাকাবাসী। শুক্রবার ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের ধেড়ুয়ার কাননডিহি গ্রামে নতুন করে বাঘের পায়ের ছাপ মেলে। এর ফলে স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ৷ শুধু তাই নয়, বুনো শুয়োরের মাংসের টুকরোও উদ্ধার হয়। শেষপর্যন্ত বাঘের মৃত্যুতে স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ৷ কিন্তু এভাবে বাঘকে মারা কতটা ঠিক কাজ হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷
এর আগেও তিনজনকে আহত করে ওই বাঘ। বুনো শুয়োরটি বাঘেই খেয়েছে বলে অনুমান এলাকাবাসীর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বনাধিকারিকরা।