রবিবার লটারির ফলাফল ঘোষণার পর সোমবার গৌড়বাবু তাঁর টিকিট গুসকরারই একটি ব্যঙ্কের শাখায় জমা করেছেন।
গৌড় দাসের বাড়িতে রয়েছেন বিধবা মা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে ও এক ছেলে। রিক্সা চালিয়ে সংসার ঠিকমত চলে না। রিক্সা চালানোর পাশাপাশি মাঝেমধ্যে জনমজুরি করতেও যেতে হয়। জনমজুরির কাজে যুক্ত মা তুলসীদেবী ও স্ত্রী প্রতিমা দাস। সন্তানরা সকলেই প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়া।
advertisement
গৌড়বাবু জানিয়েছেন তিনি নাগাল্যান্ড সরকারের ৫ সেম টিকিটটি কেটেছিলেন রবিবার সকালে। রবিবার তাঁদের ইউনিয়নের কয়েকজন মিলে পিকনিক করার কথা ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত বৃষ্টির কারনে পিকনিক বাতিল হয়। যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন তাঁকে একপ্রকার জোরজবস্তি করেই এক টিকিট বিক্রেতা ওই টিকিটটি দিয়েছিলেন।
গৌড় বলেন, "তখন আমার কাছে মাত্র ৭০ টাকা পড়ে রয়েছে। তাই টিকিট নিতে চাইনি। খুব জোরাজুরি করায় টিকিটটি নিই।”
সকালের দিকে টিকিটটি কেনার পর রবিবার দুপুর নাগাদ গৌড় পাড়ার কাছে একটি কাউন্টারে টিকিটটি মেলাতে গিয়ে তাজ্জব বনে যান।লটারির রেজাল্টে দুর থেকে দেখেন তাঁর প্রথম পুরস্কার পড়েছে। ৫০ লক্ষ টাকা।