সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছরও সমবায়ের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ২৩৬৯ টাকা দরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হবে। ক্যাম্পে প্রচারের জন্য মাইকিং, লিফলেট ও ব্যানারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ক্যাম্পগুলিতে বায়োমেট্রিক যাচাই ছাড়া কোনও ধান কেনা হবে না এবং কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলবে।
advertisement
চলতি বছর ১৭৯টি মোবাইল সিপিসি চালু করা হয়েছে যাতে প্রান্তিক এলাকার কৃষকরাও কাছাকাছি জায়গায় ধান জমা দিতে পারেন। গত মরশুমে রাজ্য সরকারের সমবায় দফতর ৯১৩টি পিএসএস-এর মাধ্যমে ৯ লক্ষ ৭ হাজার ৯৯৮ মেট্রিক টন, ১১টি ল্যাম্পস-এর মাধ্যমে ৬৮২৬ মেট্রিক টন ও ১২টি পিএমএসএস-এর মাধ্যমে ১০৫৫৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছিল। এবার সেই সাফল্যের রেকর্ড ছাপিয়ে যাওয়াই সরকারের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন- কোটি কোটি টাকা নয়ছয়, লোভে ফাঁদ দিতেই ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব সবকিছু, পথে বসলেন যুবক
রাজ্যের প্রায় সমস্ত রেশন ব্যবস্থার চাল এখন রাজ্যেই উৎপাদিত ধান থেকে আসছে, বাইরে থেকে চাল আমদানি করার প্রয়োজন পড়ছে না। আগে কৃষকদের ধান ৪২০-৪২৫ টাকা দরে বিক্রি করতে হতো, এখন তাঁরা অনেক বেশি দাম পাচ্ছেন। রাজ্যের বক্তব্য ২০১২ সাল থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়েছে এবং এখন কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ধান সরকারের কাছে সরাসরি বিক্রি করতে পারছেন।
গড় উৎপাদন ১৫ কুইন্টাল হওয়ায় চাষিরা কাছের ক্যাম্পেই ধান জমা দিতে পারবেন। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ সমবায়ে নতুন বোর্ড এসেছে, ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আরও বেড়েছে। প্রশিক্ষণ ও পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি নিয়ে বেনফেড, কনফেড এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি কাজ শুরু করে দিয়েছে।
৩১ আগস্টের মধ্যে প্রাথমিক কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ক্যাম্প সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পকে সফল করতে সরকার কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।