পুজোর কর্মকর্তারা ঐক্যবদ্ধভাবে হয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে পুজোর আড়ম্বরে কাঁটছাট করা হয়েছে। থাকবে শুধু আরজি করের নির্যাতিতার প্রতি সহমর্মিতা। নিহত চিকিৎসকের স্মরণে এবার পুজোতে রক্তদান ও বস্ত্র বিতরণের মতো সমাজসেবামূলক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রোটিনের ‘পাওয়ারহাউজ’, মাছ-মাংসকে হার মানায় এই ডাল! ঝটপট ওজন কমায়-লিভারকে রাখে যত্নে
advertisement
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে। কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে ১০০ ঘণ্টারও বেশি জেরা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হুগলির উত্তরপাড়ার তিন দুর্গাপুজো কমিটি সরকারি অনুদান নিতে অস্বীকার করে। যা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। এর রেশ পুরোপুরি কাটার আগেই একই পথ হাঁটল বারাসতের সরোজিনী পল্লি উন্নয়ন সমিতি।
আরও পড়ুন: স্ট্রোক রুখতে মাস্টারস্ট্রোক! মারণরোগ থেকে বাঁচতে রোজকার জীবনে এই কাজগুলি এখনই বন্ধ করুন
রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদান বাবদ ৮৫ হাজার টাকা নিতে অস্বীকার করেছে এই পুজো কমিটি। জানা গিয়েছে, বারাসতের এই ক্লাব কমিটি বেশ ধুমধাম করেই প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করে থাকে। এই বছর পুজো ৩৭ তম বর্ষ। পাড়ার সমস্ত লোকজন এক হয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। চলে ভুড়িভোজও।
কিন্তু, এই বছর তাঁর কোনওটাই হচ্ছে না। কেবল পুজোর রেওয়াজটুকু বজায় থাকবে মাত্র। এ বিষয়ে সমিতির সম্পাদক কার্তিক কর্মকার বলেন, ‘আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে তা মুখে বলতে শিউরে উঠতে হচ্ছে। কেউই অসহায় পরিবারকে বিচার দিতে পারেনি। তাই আমরা আর্থিক সহায়তা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জিয়াউল আলম