TRENDING:

বছরে মাত্র একদিন বাড়িতে ফেরেন এই গ্রামের বাসিন্দারা, কিন্তু কেন ?

Last Updated:

লক্ষী তো সমৃদ্ধির দেবী। অর্থাৎ তিনি ঘরে এলেই নাকি পরিবারে আসে ধনসম্পদ। এখানে দেবী লক্ষী ভূত তাড়িয়ে ঘরে ফেরান গ্রামবাসীদের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#আসানসোল: লক্ষী তো সমৃদ্ধির দেবী। অর্থাৎ তিনি ঘরে এলেই নাকি পরিবারে আসে ধনসম্পদ। এখানে দেবী লক্ষী ভূত তাড়িয়ে ঘরে ফেরান গ্রামবাসীদের। তবে পুজো শেষে তিনি বিদায় নিলেই ফাঁকা হয়ে যায় গ্রাম। উন্নয়নের অভাবেই গ্রামবাসীরা গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, এমন অভিযোগও ওঠে।
advertisement

এরাজ্যেই রয়েছে এমন এক গ্রাম। সারা বছর গ্রামে কেউই থাকেননা। ঘর দোর ফাঁকা। ঝোপঝাড়ে ভরে থাকে চারদিক। শুধু কোজাগরি লক্ষীপুজোর দিনই গ্রামে ফেরেন বাসিন্দারা। ভরে ওঠে গ্রাম।

বছরে একদিন শুধু লক্ষীপুজো করতেই গ্রামে ফেরেন কুলটির বেনাগ্রামের বাসিন্দারা। সারারাত পুজো করে ফের ভোর হলেই গ্রাম ছাড়েন তাঁরা। ফেরা আবার একবছর পর। গত ১৫ বছর পরে এটাই পরম্পরা। লোকশ্রুতি, ভূতের ভয়েই নাকি গ্রামছাড়া হয়েছিল সব পরিবার। যদিও গ্রাম ছাড়া নিয়ে গ্রামবাসীদের বক্তব্য অন্যরকম

advertisement

বহু বছর ধরে এই গ্রামে শুধু লক্ষীপুজোয় হয়ে আসছে। পূর্বপুরুষদের সেই পরম্পরা ধরে রাখতেই লক্ষীপুজোর দিন ঘরে ফেরেন গ্রামবাসীরা। ২০০২ সালে লক্ষীপুজোর পরদিন গ্রাম ছেড়ে গিয়েছিল গ্রামের প্রতিটি পরিবার। উন্নয়নের দাবিতে না ভূতের ভয়ে?

উন্নয়নের অভাব বেনাগ্রামে স্পষ্ট। তবে আসানসোল পুর নিগমের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর জোরকদমে শুরু কাজ শুরু হয়েছে।

advertisement

উঠোনে আলপনা। ঘরে ঘরে শাঁখের শব্দ। পুজোর কাঁসর-ঘণ্টা। লক্ষ্মীপুজোর দিন কুলটির বেনাগ্রামকে বাংলার আর পাঁচটা গ্রামের থেকে আলাদা করা যাবে না কিছুতেই। বছরের বাকি দিনগুলো জনমানবশূন্য এই গ্রাম এখনও গ্রামবাসীদের ফেরার অপেক্ষায়।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বছরে মাত্র একদিন বাড়িতে ফেরেন এই গ্রামের বাসিন্দারা, কিন্তু কেন ?