বিশেষ করে সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ সহ সুন্দরবন এলাকায় নদীবাঁধ ভাঙনের ঘটনা প্রায় নিত্যদিনের। রায়মঙ্গল, বিদ্যাধরী, ইছামতী, কলাগাছি, মাতলা ও অন্যান্য নদীর পাড়ে অব্যাহত ভূমিক্ষয় হয়। নদীর জোয়ারের জল বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়ে গ্রামে, ক্ষতি হয় ঘরবাড়ি ও ফসলের। বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলেনি। বাঁধ নির্মাণের পরও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না সম্পূর্ণভাবে। এই পরিস্থিতিতে তালগাছকে অন্যতম সমাধান হিসেবে তুলে ধরেছেন গবেষক অনিমেষ মন্ডল।
advertisement
আরও পড়ুন: ইসকনের রথে এ বছর বিরাট চমক! চাকা দেখলেই তাক লেগে যাবে! রথ-যুদ্ধবিমান মিলেমিশে একাকার
তাঁর মতে, তালগাছের শিকড় গভীরে প্রবেশ করে এবং মাটি শক্ত করে তোলে। এতে নদীর পাড়ের বাঁধ মজবুত হয় ও সহজে ভাঙে না। তালগাছ ভূমিক্ষয় রোধেও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়াও বজ্রপাত রোধে তালগাছের ভূমিকা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। তালগাছ উচ্চতা ও কাঠামোর জন্য বিদ্যুৎ প্রবাহ সরাসরি নিজের দিকে টানে, এতে মানুষ নিরাপদ থাকে। এই কারণে অতীতে বহু গ্রামে বাড়ির পাশে তালগাছ লাগানো হতো। কিন্তু বর্তমানে তালগাছ রোপণ প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
গবেষকের দাবি, তালগাছ রোপণের মাধ্যমে একাধিক সমস্যা একসঙ্গে সমাধান সম্ভব। এই উদ্যোগ শুধু পরিবেশ নয়, মানুষের জীবন ও জীবিকাও বাঁচাতে পারে। বিশেষ করে নদীবাঁধের পাশ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানো হলে তা বাঁধের আয়ু বাড়াবে। সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের সচেতন করে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। তালগাছের চারা বিতরণ করা, স্কুল ও গ্রামে রোপণ অভিযান চালানো যেতে পারে। তালগাছের গুরুত্ব বুঝে নতুন করে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন গবেষক অনিমেষ মন্ডল।
জুলফিকার মোল্যা





