শ্যামবাজারের বসু পরিবারের সঙ্গে মাহেশের অধিকারী পরিবারের দীর্ঘ দিনের যোগাযোগ। তারা জগন্নাথ মন্দিরের সেবক। তারা ইচ্ছা প্রকাশ করেন নতুন রথ (Rathayatra 2022) তৈরি করে দেবেন। ১৩৭ বছর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কাঠের রথ বদলে ফেলা হবে। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কাঠের বদলে রথ হবে লোহার। সেই রথ এখনও চলে আসছে (Rathayatra 2022 | Mahesh Rath)৷
advertisement
আরও পড়ুন : রথের দিনেই বর্ষার ইনিংস শুরু দক্ষিণবঙ্গে! ভিজবে বেশ কয়েকটি জেলা! আবহাওয়ার Latest Update
১৩৭ বছরের এই রথ সেই সময় তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। মাহেশের (Mahesh Rath Yatra) এই রথ পরিচিত নীলাচল নামে। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু একাধিকবার এই রথ যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি মাহেশের নাম দেন নব নীলাচল। সেই অনুযায়ী মাহেশের রথ পরিচিত নীলাচল রথ নামে। মন্দিরের প্রধান সেবায়েত সৌমেন অধিকারী জানিয়েছেন, "ঐতিহাসিক এই রথ যাত্রায় রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবও যোগদান করেছিলেন। এই রথের প্রতিটি অংশে ইতিহাস জড়িয়ে আছে।"
এই রথে (Mahesh Rath Yatra) প্রতি বছর জগন্নাথ, বলরাম, সুভ্রদা'কে বসানোর পরে একটি বিশেষ পুজো করা হয়। সেই পুজো দামোদর পুজো নামে খ্যাত। এখানে রথ পুজো হয়। তিন তলা এই রথে যেখানে অন্যান্য বছর জগন্নাথ-বলরাম-সুভ্রদাকে বসানো হয়, এবার সেখানে রথের নীচে একটি ছবি রাখা হয়েছে। সেখানেই সকলে পুজো দিচ্ছেন। তবে রথকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রথের রশিতে টান না পড়লেও তার পুজোয় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না মাহেশের অধিকারী পরিবার।
আরও পড়ুন : বিয়ে করতে চান না? অবিবাহিতদের জীবনে বিরাট ঝুঁকি! হতে পারে মারাত্মক এই অসুখটি!
শুধু রথ নয়, বিশেষ দিনে বিশেষ ভোগ নিয়েও মাহেশে ভক্তদের উৎসাহ আছে। রথ যাত্রায় এখানে ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, আলুরদম, ধোঁকার ডালনা, পনির ও পায়েস। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ অবধি প্রতিদিন নানা রকমের পদ রান্না করে দেওয়া হয় জগন্নাথ-বলরাম-সুভ্রদাকে।