উদ্ধারের তালিকায় রয়েছে কেউটে, চন্দ্রবোড়া কালাচের মতো বিষধর সাপ। এই সমস্ত সাপ উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্যদের। বর্ষা শেষ জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগের মুহূর্তে পরিবেশ কর্মীদের তৎপরতায় উদ্ধারকার্য।
আরও পড়ুন: হতে পারে জেল-জরিমানা! বিশ্বজুড়ে শিশুদের এই নামগুলি রাখা বেআইনি-নিষিদ্ধ, সাবধান! কোন কোন নাম জানেন?
advertisement
এ সমস্ত বিষধর সাপ উদ্ধার হয় বাগনান, বীরশিবপুর, উলুবেড়িয়া, আমতা, দেউলটি থেকে। এর মধ্যে ৬টি কেউটে, ৭টি চন্দ্রবোড়া ও একটি বিষধর কালাচ উদ্ধার হয়। সুমন্ত দাস ও রঘুনাথ মান্না কেউটে ও চন্দ্রবোড়া উদ্ধার করেন উলুবেড়িয়া পানপুর, বীরশিবপুর, বাগনান মুরালীবাড় থেকে। এবং কেউটে উদ্ধার করে পূর্নাল, খালোড় থেকে। সুমন্ত দাস ও ইমন ধাড়া কেউটে উদ্ধার করে হোটেল গৌর দেউলটি থেকে। হাল্যান ছয়ানি গ্রাম থেকে বিষধর কালাচ উদ্ধার করে পলাশ প্রধান।
আরও পড়ুন: সন্তানকে KVS-এ ভর্তি করতে চান? কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়ানোর খরচ কত-কীভাবে আবেদন করবেন জানুন
চিত্রক, সুমন্ত ও রঘুনাথ দুটি চন্দ্রবোড়া উদ্ধার করেন বন কর্মীদের সাহায্য নিয়ে বেনাপুর, বাইনান কড়িয়া থেকে ও চন্দ্রবোড়া উদ্ধার করেন কাঁটাপুকুর থেকে। প্রত্যেকটি সাপ সতর্কতা এবং যত্নের সঙ্গে উদ্ধারের পর সমস্ত সাপগুলি বন বিভাগের সহযোগিতায় নিরাপদ জঙ্গলে মুক্ত করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশকর্মী চিত্রক প্রামানিক। হাওড়া জেলা নন ফরেস্ট এলাকা হলেও লোকালয় ঘেষা অল্প জলা জঙ্গলেই গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণীদের বসবাস। সাপ এবং বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতে দিবারাত্রি সদা প্রহরীর ভূমিকায় স্থানীয় পরিবেশ কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
রাকেশ মাইতি






