রামপুরহাট, অক্ষয় ধীবর: বীরভূমের রামপুরহাটে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর পাঁচ টুকরো করা বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে সামনে উঠে এসেছে ভয়াবহ সহ তথ্য৷ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার পরে দেহ লোপাট করার চেষ্টার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ছাত্রীর স্কুলের এক শিক্ষককে৷ এবাক ও শিক্ষকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যে সমস্ত জিনিস পাওয়া গেল তা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না খোদ পুলিশই৷
advertisement
রামপুরহাটে লালসার শিকার ছাত্রী৷ গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক মনোজ কুমার পালের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে sex টয় ,sex ভাইব্রেটর, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কনডম৷ বাড়িটি গত বুঝবার রামপুরহাট থানার পুলিশ সিজ করেছে।
জানা গিয়েছে, এই শিক্ষকের সাথে তাঁর স্ত্রীর ছয় বছর আগে ডিভোর্স হয়ে যায়৷ এই শিক্ষক নাকি বিবাহিত জীবনেই বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ত৷ সেই কারণে স্ত্রীর সাথে বনিবনা হত না৷ সেই কারণেই ডিভোর্স।
তার স্কুলের পাশেই যে ভাড়া বাড়িতে থাকত সেখানেও নাকি সেই শিক্ষক তার কাজের মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে৷ সেই নিয়েও একটি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল।
মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল জলা জমির নালায়৷ দুটি বস্তা উদ্ধার হয়েছে এখনও পর্যন্ত৷ তবে ছাত্রীটির দেহের নীচের অংশ পাওয়া যায়নি৷ মনে করা হচ্ছে, তথ্য-প্রমাণ লোপাটের জন্য আরও কারও যোগ থাকতে পারে।