এখন বর্ধমান রোজ সন্ধ্যায় আলোয় স্নান করে। শহরের জিটি রোডের দু-দিকে নামি ব্রান্ডের শপিং মলের ছড়াছড়ি। বাহারি আলো নামে সেসবের মসৃণ গা বেয়ে। আজকের বর্ধমান পুজোর কেনাকাটার জন্য সরকারি বাসে তেমন আর কলকাতা যায় না। শপিং মলের পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু বুটিক। তাদের কালেকশন বাসিন্দাদের চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট। পুজো মানে তো মেক আপ, পার্লারও। সেই সব নিয়েই এবার শারদ আবাহনের অনুষঙ্গ হয়ে থাকলো এই ফ্যাশান শো। এই প্রদর্শন।
advertisement
আরও পড়ুন: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, নাম জানা যাবে কার দখলে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট
কথা হচ্ছিল ফ্যাশান ডিজাইনার সুকন্যা গুহর সঙ্গে। সুকন্যা জানালেন, এই যে পুজো, উৎসবের মরশুম তাকে সামনে রেখেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে এপ্রিল মাসেই এই ধরনের একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন খুবই পজিটিভ একটা রেসপন্স এই শহরের কাছ থেকে পেয়েছিলাম। এই দিনের এই অনুষ্ঠানে এক্সিবিশনের পাশাপাশি ছিল র্যাম্প ওয়াক। তাতে অংশ নেওয়ার জন্য ছোট থেকে বড় সকলের মধ্যেই খুবই আগ্রহ দেখা গেছে। অনেকেই যোগাযোগ করেছিলেন। তাদের এখানে সুযোগ দেওয়া গেল। এক্সিবিশনে ডিজাইনার ওয়ার, তার সঙ্গে শাড়ি, হ্যান্ডমেড জুয়েলারি, কুশন-সহ অনেক কিছুই রয়েছে।
বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার প্রদীপ জ্বালিয়ে এই এক্সিবিশনের শুভ সূচনা করেন। তিনি বলেন, শারদ উৎসব আসছে। এসব তারই অনুষঙ্গ। আনন্দধারা সকলের মধ্যে ধাবিত হোক। এই শহর আধুনিক হচ্ছে। আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে সুস্হ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটুক। সেসব উদ্যোগের পাশে থেকে উৎসাহ জোগাবে বর্ধমান পৌরসভা।
শরদিন্দু ঘোষ