এই বিষয়ে স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সেক নাসির আলি জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর একাধিক পদ শূন্য ছিল। কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎই পাঁচজনের নাম শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু তাদের কখনো ক্লাস করাতে দেখা যায়নি। এমনকি তিনি অবসরের আগে এই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন : বন্ধুর হাত ধরতে গিয়েই… মুহূর্তে বদলে গেল খেলার আনন্দ! বন্ধুত্বের এমন পরিণতি, জানলে চোখে জল আসবে
advertisement
স্থানীয় অভিযোগের তীর স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদকের দিকে। তাদের অভিযোগ, স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ ওয়াসিন রহমান নিজের স্ত্রী, শ্যালক ও ভাইয়ের স্ত্রীকে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী হিসেবে নিয়োগ করেছেন। অভিযোগের শেষ নয় এখানেই। টাকা নিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এক্ষেত্রে আরও দু’জনকে টাকার বিনিময়ে শিক্ষক পদে বসানো হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। অভিযোগ সরকারি অনুমোদন ছাড়া এই ‘ভূতুড়ে’ নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন : অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ঘরে অপেক্ষায়! বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নাবালক স্বামী ও এক যুবতীর
স্থানীয়রা বলছেন, যে পাঁচ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের কখনও স্কুলে আসতে দেখা যায়নি। তবে নিয়মিতভাবে হাজিরা খাতায় তাদের স্বাক্ষর হয়ে যায়। কিভাবে তা সম্ভব হচ্ছে, তদন্তের মাধ্যমে সেই সত্য প্রকাশ করার দাবিও তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : বর্ষার সঙ্গে ফিরে এল পুরনো দুর্ভোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা! মহাবিপদে ২৫ হাজার মানুষ
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সচিব মুকলেসুর রহমান স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই নিয়োগগুলির কোনও সরকারি অনুমোদন নেই। রাজ্য সরকারও আদালতে জানিয়েছে, পরিচালন সমিতির কোটায় এই নিয়োগ বেআইনি ও অবৈধ। ফলে ভূতুড়ে শিক্ষকদের বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে এবং তদন্তও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে মান্দারপুর হাই মাদ্রাসার পরিস্থিতি সামাল দিতে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ সম্প্রতি এক প্রশাসক নিয়োগ করেছে।