আজ থেকে ২১০ বছর আগে বর্ধমানের মহারাজা তেজ চাঁদ বাহাদুর এই একশো আট শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাসের গবেষক সর্বজিত যশ বলেন, ‘‘রাজ পরিবারের বসবাস ছিল কালনায়। বর্ধমান থেকে তারা শাসন কাজ চালাতেন। কালনায় থাকতেন রাজ পরিবারের মহিলারা। রাজ পরিবার ছিল শিবের উপাসক। রাজ পরিবারের মহিলাদের পুজোর সুবিধার জন্যই কালনায় অন্যান্য শিব মন্দিরের পাশাপাশি এই একশো আট শিব মন্দির গড়ে তোলা হয়েছিল।’’
advertisement
অনেকে বলেন, বিষ্ণুপুরের রাজকীয় ভূসম্পত্তির স্থানান্তর এবং মালিকানা উদযাপন করার জন্য ১৮০৯ সালে মহারাজা তেজ চন্দ্র বাহাদুর এই মন্দির নির্মাণ করেন। এতো দিনের পুরনো এই মন্দিরের স্হাপত্য শৈলী বিশেষজ্ঞদের অবাক করে আজও। এই মন্দিরের কাঠামো দুটি সমকেন্দ্রিক বৃত্তের একটি সমন্বয়। যার মধ্যে প্রতিটি ছোট মন্দির ভগবান শিবকে নিবেদিত করা হয়েছে। এটি একটি পুঁতির অক্ষমালার মতো। এই মন্দিরের দেয়ালে রামায়ণ ও মহাভারতের পর্ব এবং শিকারের বহু দৃশ্যও চিত্রিত রয়েছে।
বাইরের দিকে রয়েছে ৭৪টি মন্দির। ভিতরে রয়েছে ৩৪টি মন্দির। সেগুলি আবার পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে নির্মিত হয়েছে। একে নব কৈলাশ মন্দিরও বলা হয়। এই ১০৮টি মন্দিরের প্রতিটিতে একটি করে শিব লিঙ্গ রয়েছে। ভেতরের প্রতিটি শিব লিঙ্গ সাদা রঙের। যা পুণ্যের প্রতীক। অন্যদিকে বাইরের অর্ধেক লিঙ্গ কালো পাথরের। যা পাপের প্রতীক।
Saradindu Ghosh