রায়দীঘির কঙ্কণদীঘির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভীষ্মদেব নস্কর ৷ ব্যাঙ্কে পেনশন তুলতে গিয়ে আচমকাই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৮০ বছর বয়সের এই বৃদ্ধ শিক্ষক ৷ রায়দীঘি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ৷
ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে এসে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যুতে ট্যুইটারে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
advertisement
ভোর থেকে অশক্ত শরীরে ব্যাঙ্কের লাইন। মাসের ভরসা সামান্য টাকাটা আজ হাতে পাবেন তো? কেউ টাকা পেয়েছেন। যদিও তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনের তুলনায় কম। অনেককে ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই। উল্টে আগামীকাল ফের লাইনে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। মাস পয়লায় সবচেয়ে বেশি নোট ভোগান্তির শিকার হলেন প্রবীণ নাগরিক ও পেনশনভোগীরা।
ব্যাঙ্কে টাকার জোগাড় কম। এটিএমে নো ক্যাশ বোর্ড। মাস পয়লায় চূড়ান্ত হয়রান মানুষ। দিনভর দীর্ঘ লাইনে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের প্রহর গুনেছেন প্রবীণ নাগরিক ও পেনশন ভোগীরা। প্রবীণদের হয়রানির একই ছবি কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র।
শিলিগুড়ি
সামান্য টাকাটুকুই ভরসা। সেই টাকা তুলতে ভোর থেকে ব্যাঙ্কে লম্বা লাইন পেনশনভোগীদের। বসার জায়গা নেই। কেউ বসে পড়েছেন ব্যাঙ্কের সিড়িতেই।
শহরের একটি এটিএমেও টাকা নেই। ফলে ব্যাঙ্কে উপচে পড়া ভিড়। সেই ভিড়ে রীতিমত হয়রান হতে হয় প্রবীণদের। এত করেও অবশ্য দুই থেকে তিন হাজারের বেশি টাকা মেলেনি কোথাও। শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়ে এসবিআইয়ে টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় বাড়ে বিপদ। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর টাকা পৌঁছলেও ততক্ষণে ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছেন বয়স্ক মানুষগুলি।
পূর্ব মেদিনীপুর
বয়স সত্তর। সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে। অশক্ত শরীরেই মহিষাদলের এসবিআইয়ের ব্যাঙ্কে লাইন দিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গৌরীপদ চক্রবর্তী।
সাংসারিক প্রয়োজনে দশ হাজার দরকার। কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে মিলেছে মাত্র ছয় হাজার টাকা। শুক্রবার ফের ব্যাঙ্কে আসার পরামর্শ দেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা
মাস পয়লায় সাদার্ণ এভিনিউর এসবিআই থেকে পেনশন তুলতে এসেছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্তা শৈলেন্দ্রনাথ সরকার। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতেই ফিরতে হয় কর্ণেলকে।
শুকনো উদ্বিগ্ন মুখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাঙ্কের লাইনে অপেক্ষা। দিনের শেষে কেউ ফিরেছেন খালি হাতে। কেউ হাতে পেয়েছেন প্রয়োজনের অনেক কম টাকা। এই শরীরে কিভাবে ফের পরদিনই ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াবেন ভেবে আতঙ্কে বয়স্ক মানুষগুলি। তাঁদের অসহায় প্রশ্ন, কালো টাকা রুখতে গিয়ে কেন তাঁদের এইভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। যদিও উত্তরটা জানা নেই কারও।