এ দিন নিজের ট্যুইট হ্যান্ডেলে বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় লেখেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমার বয়স ও শারীরিক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে তা তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন বলেও ট্যুইটে জানান রবিরঞ্জনবাবু। এক সময়ের বামফ্রন্টের লাল দুর্গ হিসেবে পরিচিত বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে ২০১১ সালে সিপিএম প্রার্থী নিরুপম সেনকে তিরিশ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে বিধায়ক হন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রিত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৬ সালেও তিনি এই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। একই সঙ্গে তিনি বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান দায়িত্বে রয়েছেন।
advertisement
ইদানিং দলের কর্মসূচিতে তাঁকে সেভাবে দেখা যাচ্ছিল না। বেশিরভাগ সময় বিধায়ক কলকাতাতেই থাকেন বলে দলের মধ্যেই অভিযোগ উঠছিল। তাছাড়া গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে দলের সব পক্ষকে এক সঙ্গে নিয়ে কোনওদিনই কাজ করতে পারেননি তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা আসনে তৃণমূলের ভোট একেবারেই অনেকটা কমে গিয়েছে। যেখানে ২০১৬ সালে এই আসনে চল্লিশ হাজারের কাছাকাছি লিড ছিল তৃণমূলের তা কমে দেড় হাজারের নিচে চলে চলে গিয়েছে। তাই বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। তার মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন প্রবীণ বিধায়ক রবিরঞ্জন বাবু। বুধবার তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরেই শরীরটা অসুস্থ রয়েছে। বয়সটাও একটা কারণ। তাই আর না প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত। তবে বিডিএ-র চেয়ারম্যান পদে থাকছি। আগামী শুক্রবার বিডিএতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
Saradindu Ghosh