কবি এই সংবর্ধনা সভায় এসেছিলেন ধুতি ও কালো টুপি পরে। স্থানীয় স্কুলের ছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। রুপোর পাতের উপরে সংস্কৃতে লেখা একটি মানপত্র কবিকে দেওয়া হয়েছিল। সংবর্ধনা শেষ হলে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কবিকে নিয়ে ছবিও তোলেন। শরীর ভাল না থাকায় অনুষ্ঠানে কবি দীর্ঘ বক্তব্য রাখেননি। অনুষ্ঠান শেষ হলে কবি ট্রেনে চেপে শান্তিনিকেতনে ফিরে যান।
advertisement
আরও পড়ুন: এবারও কালনার ময়ূর রাখির চাহিদা তুঙ্গে, খুশি কারিগররা
দেবপ্রসন্নবাবুর ভগ্নীপতি সত্যবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় তেলিনিপাড়ার জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন। তাঁর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্রেই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেবপ্রসন্নবাবুরও পরিচয় হয়েছিল। তাঁরই আমন্ত্রণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেবপ্রসন্নবাবুর বাড়িতে আসেন। বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে সামান্য দূরে বিবি ঘোষ রোডে দেবপ্রসন্নবাবুর বাড়ি ছিল। সে বাড়ি আজ আর নেই। কয়েক বছর আগে তা ভেঙে সেখানে নতুন আবাসন তৈরি হয়েছে। সেই বাড়ির প্রাঙ্গণেই স্থানীয় বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে কবির সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ব্যাপক উত্তাল সমুদ্র, আবহাওয়ায় ব্যাপক রদবদল, বাংলার উপকূলে লাল সতর্কতা জারি
১৯৩৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই সংবর্ধনা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই দুটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় গিয়েছিলেন। ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি তাঁর শান্তিনিকেতনে ফেরার কথা ছিল। সেই খবর পেয়েই দেবপ্রসন্নবাবু কবিকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসতে উদ্যোগী হন। কবি সে প্রস্তাবে রাজি হলে দেবপ্রসন্ন নিজের বাড়ির প্রাঙ্গণেই সংবর্ধনা মঞ্চ তৈরি করেন। কবি বিকেল চারটে নাগাদ গাড়ি করে দেবপ্রসন্নবাবুর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছন। সেখানে তখন শহরের কয়েকশো বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সেদিন বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদ মহতাব স্বয়ং দেবপ্রসন্নবাবুর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন। ওই দিন মহারাজা তাঁর ভাষণে ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।