সময়ের স্রোতে সবই আজ ইতিহাস.. তবু রয়ে গেছে রূপকথারা... ৷
ঐতিহ্য হারায়নি...হারায় না... মহিষাদল পরগনার রাজা আনন্দলাল উপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর রাজ্যের রাশ ধরেন স্ত্রী জানকী...বর্গি আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি করেন নারী বাহিনী..... রুখে দেন বর্গিদের....১৭৭৮ সালে রানির হাতেই দুর্গাপুজো পুজো শুরু মহিষাদল রাজবাড়িতে।
আজও হয় পুজো.....এলাহি নয়....নিষ্ঠাই এখন মূলধন.....আড়ম্বর না থাক......বনেদিয়ানা ঢেকে দেয় সব ক্ষত। বৈষ্ণব মতে পুজো। রাজবাড়ির আটচালার সামনে দুর্গামণ্ডপে পুজোর আয়োজন হয়। প্রতিপদ থেকে চণ্ডীমঙ্গল। প্রাচীন রীতিনীতি মেনে পুজো নির্ঘণ্ট। আগে যাত্রার আসর বসত নাটমন্দিরে। চিকের আড়াল থেকে দেখতেন মহিলারা। যাত্রা এখনও হয়। বসে পালা কীর্তনের আসরও। স্বাধীনতার পর থেকে বন্ধ বলি। আগে আট মণ চালের ভোগ হত...এখন হয় আট কেজি চালে...অষ্টমীতে।
advertisement
কামানটা আজও আছে। তবে তোপধ্বনি হয় না....বাজির শব্দেই এখন হয় সন্ধিপুজো...গেঁওখালির কাছে রূপনারায়ণে দুই নৌকায় বিসর্জনও আজ অতীত....বিসর্জনের পথে শোভাযাত্রায় বন্দুক হাতে পেয়াদারাও নেই.....রাজবাড়ির নিজস্ব দিঘিতেই এখন হয়বিসর্জন।
সোনালি অতীতে আজ ধুলোর আস্তরণ....ধীরে ধীরে ঝাপসা হচ্ছে স্মৃতি...সোমলতার মত অনেকেই জানেন না রানী জানকীর দুর্গা আজো পুজো পান মহিষাদলের রাজবাড়িতে। উৎসব এক করে পরিবারকে....শিকড়ে ফেরে ছড়িয়ে থাকা শাখা-প্রশাখা। বছরের একবার হলেও, উমার হাত ধরেই ভরে ওঠে জানকীর সাধের সংসার। বিষয়আশয়।