চুঁচুড়া কাপাসডাঙ্গা সতীন সেন বিদ্যাপীঠের মাঠে পুরুলিয়া একাদশ বনাম ব্যান্ডেল একাদশের মধ্যে আয়োজিত হল বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচ। খেলা পরিচালনার দায়িত্ব ছিলেন টুকাইয়ের দুই বন্ধু রবি পাল ও সুকুমার উপাধ্যায়। রবি পাল পেশায় চাবি তৈরি করেন ও সুকুমারবাবু চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের একজন কনস্টেবল। দুজনেই দৃষ্টিহীন মানুষদের নিয়ে কাজ করে আসছেন বহুদিন ধরে। সেই সুবাদেই তাদের পরিচয় হয়েছিল টুকাইয়ের সঙ্গে। তখন টুকাই জানিয়েছিলেন দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেট ম্যাচের কথা। সে জীবিত থেকে এই কাজ না করে যেতে পারলেও বন্ধুর স্মৃতিতে এগিয়ে এলেন বাকি দুইজন।
advertisement
পুরুলিয়া একাদশ বনাম ব্যান্ডেল একাদশের প্রদর্শন মূলক ক্রিকেট ম্যাচ হয় ১২ ওভারের। যেখানে দুই দলেরই স্বজন করে ১০০ শতাংশ দৃষ্টিহীন প্লেয়ার ও পাঁচজন করে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিহীন খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামেন দুই দল। যেহেতু তারা দৃষ্টিহীন তাই তাদের শব্দ শুনে খেলতে হয় সেই মোতাবেক এক বিশেষ ধরনের বল ব্যবহার করা হয়েছিল খেলার সময়। যে বল প্লাস্টিকের তৈরি হলেও ভেতরে লোহার বল দেওয়া যাতে বল এগোলেই তাতে ঝনঝন করে শব্দ হয়। সেই শব্দ শুনেই খেলা হয়।
আরও পড়ুনঃ GK: কোথায় রয়েছে ‘হীরের শহর’? উত্তর দিতে ব্যর্থ ৯৯ শতাংশ, যে পারবে সে জিনিয়াস
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পুরুলিয়া একাদশ নির্ধারিত বার ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময় ২১৬ রান করেন। পুরুলিয়ার হয়ে মাঠে নামেন দৃষ্টিহীন ক্রিকেটের বাংলার অন্যতম অলরাউন্ডার চন্দন মান্ডি। ২১৬ রান চেস করতে নেমে মাত্র সাত ওভারে ৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় ব্যান্ডেল একাদশ। পুরুলিয়ার হয়ে অপূর্ব হাজরা, ১১৪ রান করে ম্যাচের সেরা হন। খেলার শেষে সমস্ত প্লেয়ারদের হাতে পুরস্কার ও বিশেষ আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।
রাহী হালদার





