স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে দূরদূরান্তের ভক্তরাও এই পুজোর সময় ভিড় জমান দেবীর দর্শনে। উৎসবের আবহে এই মন্দির পরিণত হয় এক প্রাণচঞ্চল তীর্থক্ষেত্রে। বর্তমানে জোরকদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি। প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে শুরু হওয়া এই পুজো আজ এলাকাবাসীর কাছে এক বিশেষ গৌরবের।
advertisement
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়-সহ পুজো কমিটির সম্পাদক বীরজু বাউড়ি বলেন, ‘‘আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাত ধরে শুরু হওয়া এই পুজো আজ রঘুনাথপুর তো বটেই, পুরুলিয়া জেলার বুকে এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। বর্তমানে আমরা এলাকার যুবকরা এই পুজো পরিচালনা করে আসছি। যখন পুজো প্রথম শুরু হয়েছিল, তখন এই এলাকা ছিল সম্পূর্ণ জনশূন্য। কিন্তু ‘হিলা কালী’র পুজো শুরু হওয়ার পর থেকেই এখানে বসতি গড়ে উঠেছে, বাড়িঘরে ভরে উঠেছে পুরো এলাকা।”
অলৌকিক কাহিনি, ঐতিহ্যের গর্ব এবং গভীর ভক্তির আবেশে ভরপুর এই ‘হিলা কালী পুজো’ আজ শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি রঘুনাথপুরের অস্তিত্ব, পরিচয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।