চাকা ঘুরিয়ে নরম মাটি দিয়ে যত্ন সহকারে তৈরি করা হচ্ছে ধুনুচির আকৃতি। তারপর সেগুলো শুকিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে আরও মজবুত করা হচ্ছে। সবশেষে রঙ ও তুলির ছোঁয়ায় সেগুলো সাজানো হচ্ছে নতুন, আকর্ষণীয় সাজে। পুজোর সময় যার আলো, ধোঁয়া আর ছন্দে পুজোমণ্ডপ ভরে উঠবে ভক্তির আবেশে।
আরও পড়ুন: আপনজনের স্মৃতিতে অন্যরকম আয়োজন যুবতীর! চাইলে আপনিও করতে পারেন, মন ভাল হয়ে যাবে গ্যারান্টি
advertisement
পুরুলিয়ার কাশীপুরের নপাড়া গ্রামের কুম্ভকার পাড়ায় এখন মৃৎ শিল্পীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতেই মাটির প্রদীপের পাশাপাশি ধুনুচি তৈরিও চলছে জোর কদমে। মৃৎশিল্পী রঞ্জিত কুম্ভকার, শ্রীমতি কুম্ভকার জানান, “কালীপুজোর সময় বাজারে ধুনুচির চাহিদা বাড়ে ঠিকই কিন্তু সেইভাবে লাভ পাওয়া যায় না। একটা ধনুচি বানাতে যে হারে পরিশ্রম করতে হয় সেই হারে পারিশ্রমিক পাওয়া যায় না। অন্যদিকে মাটির ধুনুচির পরিবর্তে অনেকেই এখন পিতলের ধুনুচি কিনে নিচ্ছেন। যার ফলে মাটির ধুনুচির চাহিদাও আগের মতো আর বাজারে নেই।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও পুরুলিয়ার মৃৎশিল্পীদের হাতে তৈরি মাটির ধুনুচি এখনও পুজোর মণ্ডপে এক নতুন রূপে পৌঁছয়। যেখানে তার আলো-ধোঁয়া আর ছন্দ মণ্ডপকে ভরিয়ে তোলে ভক্তির এক আলাদা আবহে। এই ধুনুচির মাধ্যমেই যেন পূর্ণতা পায় কালীপুজোর পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় অনুভূতি।