TRENDING:

Puri Hotel: পুরীর হোটেলের ঘরে বাঙালি গৃহবধূ-প্রেমিকের দেহ! কীভাবে পুরীতে গেলেন দুজন, পরিবারের কথা শুনে শিউরে উঠছেন সকলে

Last Updated:

Puri Hotel: বছর দশেক আগে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার হরিহরপুত্র গ্রামের প্রশান্ত ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার সোনামুখীর তরুণী মিতালির।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
advertisement

রায়না: আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ? পুরীর হোটেলে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। সপ্তাহ খানেক আগে বাবার বাড়ি যাচ্ছি বলে বেপাত্তা হয়ে যায় রায়নার গৃহবধূ মিতালি ঘোষ। বৃহস্পতিবার পুরীর একটি হোটেল থেকে মিতালি ও তার প্রেমিক কুমারীশ ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বছর দুয়েক আগে কুমারীশের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল মিতালি। তার পরিণতি যে এমন হবে, তা ভাবতে পারছেন না কেউই।

advertisement

বছর দশেক আগে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার হরিহরপুত্র গ্রামের প্রশান্ত ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার সোনামুখীর তরুণী মিতালির। তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। প্রশান্তর গ্রামে মুদিখানা ও তেলের ব্যবসা আছে। দু’বছর আগে মিতালি ঘোষ পাশের গ্রামের মাধবডিহির বাসিন্দা কুমারীশ ঘোষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মিতালি স্বামী প্রশান্ত ঘোষ জানান,পড়শিদের কাছে এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তিনি তাঁর স্ত্রীকে সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন।

advertisement

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের সকালে বেঙ্গালুরুতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ! রক্তে ভাসল চারদিক, মৃত্যু শিশুর! ছিন্নভিন্ন গোটা এলাকা

মিতালি জানিয়েছিল, কুমারীশ তাকে মাঝে মধ্যেই বিরক্ত করে। এরপর প্রশান্ত তাঁর শ্বশুর বাড়িতে জানানোর পাশাপাশি কুমারীশের বাড়িতেও বিষয়টি জানান। তখনকার মত ঝামেলা মিটে গেলেও কয়েক মাস আগে তাদের মধ্যে ফের সম্পর্ক তৈরি হয়। ফোনে যোগাযোগ হত। বেশ কিছুদিন আগে প্রশান্ত হোয়াটসঅ্যাপে কুমারীশ ও তার স্ত্রী মিতালির একটি ছবি দেখতে পান। তার মেয়ে জানায় মায়ের সঙ্গে কুমারীশের ছবির কথা তাঁকে জানান। বিষয়টি জানাজানি হতেই মিতালি ছবিটি মোবাইল ফোন থেকে মুছে দেয়।

advertisement

প্রশান্ত জানান, ৭ দিন আগে মিতালি মোবাইল ফোন আনতে যাচ্ছি বলে সোনামুখী যায়। তারপরই মোবাইলের সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। তাকে ফোনে না পেয়ে শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে শ্বশুর বাড়ি থেকে বলা হয় এখানে মিতালি আসে নি। মৃতার ভাই বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, জামাই প্রশান্ত তাদের বাড়িতে জানানোর পরই আমরা রায়না থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করি। পরে জানতে পারি, তার বোন পুরীর একটি হোটেলে আছে। পুলিশকে সেই বিষয়টিও জানানো হয়। তার অভিযোগ পুলিশ তৎপর হলে তার দিদিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যেত।

advertisement

বৃহস্পতিবার স্বামী প্রশান্ত ঘোষের মোবাইলে ফোন আসে ওড়িশা পুলিশ পক্ষ থেকে। তাঁকে জানানো হয়, স্ত্রী মিতালি ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে পুরীর একটি হোটেলের ঘর থেকে। প্রশান্তবাবু জানান, সোনামুখী যাওয়ার নাম করে স্ত্রী মিতালি সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Puri Hotel: পুরীর হোটেলের ঘরে বাঙালি গৃহবধূ-প্রেমিকের দেহ! কীভাবে পুরীতে গেলেন দুজন, পরিবারের কথা শুনে শিউরে উঠছেন সকলে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল