কিছু ছাগল মারা গিয়েছে। কিছু বিক্রি করা হয়েছে। এখন তার কাছে রয়েছে ষাটটি ছাগল। ছাগল পালন করেই সংসারের অভাব ঘুঁচিয়েছেন লক্ষ্মীদেবী। এভাবে যে সহজেই দারিদ্র্যকে জয় করা যায়, তা দেখিয়েছেন তিনি- এমনটাই বলছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বিভিন্ন কর্মশালায় ডাক পড়ছে তাঁর। আর পাঁচজনের মনে সাহস জোগাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন- শাড়ি নয়, নবম শ্রেণি থেকে এবার সালোয়ার! হঠাৎ বড় সিদ্ধান্ত এই স্কুলে
advertisement
২৫ বছর আগে মৃত্যু হয়েছিল স্বামীর। একমাত্র ছোট্ট সন্তানকে সঙ্গে জীবনের বাকি দিনগুলি কীভাবে কাটবে, তা ভেবে উঠতে পারছিলেন না। কোনও রকমে দিন চালাচ্ছিলেন। বেশিরভাগ দিনে মাঠে জন মুনিষের কাজ করতে হত।
সাত বছর আগে ২০১৫ সালের এলাকার কৃষি মেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী সদস্য হিসেবে অনেকের সঙ্গে তিনিও একটি ছাগল ছানা পান। সেই ছাগলকে সামনে রেখেই অভাব মেটানোর চেষ্টা চালান তিনি।
লক্ষ্মী দেবী জানালেন, এখন আর তেমন অভাব নেই। ছাগল প্রতিপালন ও বিক্রি করে এখন ভালভাবেই দিন চলে যাচ্ছে। ছেলেও এই কাজে যথেষ্ট সাহায্য করছে। তবে ছাগলের জন্য আলাদা কোনও ঘর নেই। শোওয়ার ঘর, রান্নাঘরেই তাদের রাখতে হয়। শীত, বর্ষায় অসুবিধা হয়। সরকারের কাছ থেকে একটা ঘর পেলে ভাল হয়।
আরও পড়ুন- Hooghly News: পুরো টাকা জমানো ছিল না, লোন করে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে বৈদ্যবাটীর পঙ্কজ ঘোষ
এখন তিনি প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের প্রচারের মুখ হয়ে উঠেছেন। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ছাগল পালন করে শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের চৌরঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মী চক্রবর্তী সংসারের অভাব ঘুচিয়েছেন। ওর কথা শুনে আমরা অন্যদের উদ্বুদ্ধ করছি। ওই মহিলা যাতে সরকারি প্রকল্পে ঘর পান তা নিশ্চিত করতে শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সচেষ্ট হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক।