ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে এগরা ২ নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় নলগেড়িয়া গ্রামে। এগরা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুনঃ পর্যটকদের ভিড়ে দিঘায় হারিয়ে যাচ্ছে এই ‘জিনিস’! দুর্গা পুজোর হাত ধরে ফেরাতে উদ্যোগী সমুদ্র শহর
নির্যাতিতার মা জানান, “আমার মেয়ের বয়স ৩৭ বছর। গত পরশু রাত ১০টা নাগাদ মেয়ে ও আমরা খাওয়া দাওয়া করি। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মেয়ে ঘরের বাইরে শৌচালয়ে গিয়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ সময় হয়ে যেতে মেয়ে ফিরছে না দেখে আমি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ডাকাডাকি করি। কোন সাড়া না পেয়ে আমি চিৎকার শুরু করি। বাড়ির সবাই বেরিয়ে আসে। বাড়ির কাছেই একটি পুকুরের ঘাট আছে। সেখানে এলাকার ছেলেরা বসেছিল। তারাই ডেকে বলে, এই লোকটা মেয়েটাকে মারধর করছে। ওর সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে।”
advertisement
মহিলার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও। দেখা যায়, গ্রামেরই এক বাসিন্দা এই কুকর্ম করেছে। মূক ও বধির মহিলার মুখ পুরো থেঁতলে গিয়েছে। গোটা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এমন দৃশ্য দেখা মাত্রই গ্রামের লোকজন এগরা থানায় খবর দেয়। এগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত দেবদত্ত মাইতিকে (৪৭) গ্রেফতার করে। এরপর আহত নির্যাতিতাকে এগরা সুপার স্পেসিলিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। ধৃতকে কাঁথি মহকুমার আদালতে তোলা হয়।