বছর দু’য়েক আগেই নন্দকুমারের শীতলপুর গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা আলি ওড়িশায় বাবার সঙ্গে কাজে যান। মোস্তফার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশারা বরগড় জেলার নগেল পল্লী এলাকায় কাজ করেন। ভিন রাজ্যে গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। গত ২৬ অগাস্ট ওড়িশার বরদা স্টেশনে এক বন্ধুকে ট্রেনে তুলতে গিয়েছিলেন মুস্তাফা। সেই সময় প্ল্যাটফর্মে বাংলায় কথা বলতে শুনে তাকে কয়েকজন জিজ্ঞেস করেন, সে বাঙালি কিনা। অভিযোগ, বাঙালি জেনেই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন কয়েকজন। শুরু হয় অত্যাচার। মারধর চালায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে মদের দোকানে হামলা! বোতল ভাঙচুর! পটাশপুরে হচ্ছে টা কী?
‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুরু করেন মুস্তাফা। সেই চিৎকার শুনে স্টেশনে থাকা জিআরপিএফ এগিয়ে আসেন। হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে মুস্তাফাকে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আক্রান্তকে। পরে বাড়ির লোকজন গিয়ে তাকে নিয়ে এসে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যাসাগরের জন্মভূমিতে এ এক ‘আজব’ স্কুল! শিক্ষক-শিক্ষিকা আছে অথচ নেই পড়ুয়া, কেন জানেন?
বর্তমানে মুস্তাফার অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনা শুনে নন্দকুমার বিধানসভার বিধায়ক সুকুমার দে তাঁদের বাড়িতে যান এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।