হাসপাতালের সুপার শৌভিক আলম বলেন, '' মেল ওয়ার্ডে সাপ দেখা যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অবশ্য, স্বাস্থ্য কর্মীরা সাপ খুঁজে পাননি। বনদফতরকে খবর দিয়েছি। সাপের কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওয়ার্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।''
হাসপাতালে ভর্তি থাকা সাপ কামড়ানো রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে বলছে, '' যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যে হয়।'' সাপের ভয়ে অনেক রোগীকেই বেডে পা তুলে বসে থাকতে দেখা যায়।
advertisement
শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের মেল ওয়ার্ডের নার্সিং স্টেশনের ভিতর সাপ দেখা যাওয়ার পর নার্স থেকে রোগী, সকলের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতে অনেক চেষ্টা করে স্বাস্থ্যকর্মীরা সাপটিকে খুঁজে পাননি। নার্সিং স্টেশন থেকে সাপ বের করতে না পেরে বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের রোগীর বেড লাগোয়া ফাঁকা জায়গাতে অস্থায়ীভাবে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে নার্স- স্বাস্থ্য কর্মীরা কাজ চালাচ্ছেন।
রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে আতঙ্কের মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে বলে জানান কর্তব্যরত নার্স প্রিয়া ঘোষ। শুধু যে হাসপাতালে সাপ দেখা গিয়েছে তা নয়, নার্স হস্টেলেও যখন-তখন সাপ বের হয় বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। তবে, এর আগে কখনও হাসপাতালের ওয়ার্ডে সাপ ঢুকতে দেখেননি বলে জানান প্রিয়া ঘোষ।
হাসপাতালের সুপার শৌভিক আলম জানান, '' আমাদের কর্মীরা তন্ন তন্ন করে খুঁজে সাপ দেখতে পাননি। কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ানো হয়েছে। সাপ বের করতে ইতিমধ্যেই বনদফতরকে খবর দিয়েছি। সাপ দেখে ওয়ার্ডে আতঙ্ক ছড়ানো স্বাভাবিক।''
Ranadeb Mukhopadhyay