বেলা ১১টা নাগাদ একটি বাড়ির পাশে রাখা ধানের পালুই থেকে আচমকা আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয় স্থানীয়দের মধ্যে।খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা তড়িঘড়ি বালতিতে জল নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে আগুনের তীব্রতা এতটাই বেড়ে যায় যে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা সামলানো অসম্ভব হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত খবর দেওয়া হয় মেমারি থানায় এবং দমকল বিভাগকে।
advertisement
এরপর দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে টানা প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। দমকলের সময়োচিত হস্তক্ষেপে বড়সড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় আশপাশের বাড়িঘর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় এর আগেও এই ধরনের আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের আগুন ইচ্ছাকৃত নাকি কোনও অসাবধানতার ফল — তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, আগুনে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পাকা ধান ঘরে আসার পর তা এভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত গৃহকর্তার। মেমারি থানার পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ শত্রুতা করে আগুন লাগিয়েছে কিনা তাও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, সবে কাটা ধান ঘরের কাছে খামারে এনে গাদা করে রাখা হয়েছিল। সময় সুযোগ অনুযায়ী সেই ধান ঝেড়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই আগুনে সব শেষ হয়ে গেল। সময়মতো দমকল না এলে আগুন ছড়িয়ে আরও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো।
দমকলের কর্মীরা বলছেন, এই সময় ধান ওঠে। অনেকে খড়ের গাদা করেন। তাই এই সময় বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
