ফের একই ঘটনা। ওড়িশার জলেশ্বরের লক্ষণডিহি রোডের ঘটনা কাটোয়ার বাসিন্দা টার্জানকে বাংলাদেশি সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর জখম পরিযায়ী শ্রমিক টার্জান সেখ ১ সেপ্টেম্বর সকালের ট্রেন ধরে হাওড়া হয়ে কাটোয়া ফিরে আসেন। এরপর তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
advertisement
আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি কাটোয়া থানার করজগ্রামের মাঠপাড়া। টার্জেন সেখের ডান হাতের হাড় ভেঙে যায়। টার্জানের ডান পা এবং পিঠে বেধড়ক মারের চিহ্ন এখনও স্পষ্ট। আতঙ্কিত জখম টার্জেন সেখ বলেন, পাঁচ বছর ধরে ওড়িশারর জলেশ্বরের রাজপুর বস্তিতে ঘর ভাড়া নিয়ে ফেরিওয়ালার কাজ করেন তিনি। বাংলায় কথা বলায় জলেশ্বরের লক্ষণণডিহির রাস্তায় যাওয়ার পথে এক ব্যক্তি পথ আটকে তাকে বাংলাদেশি সন্দেহ করে চ্যালা কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করে।
নিজেদের পরিচয় দিতে আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডও দেখান টার্জেন। তাতেও কাজ হয়নি। ‘তুই বাংলাদেশ, ভাগ শালা’ বলে টার্জেনের কাছে থাকা ৬ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে সাইকেলে থাকা ফেরির সরঞ্জাম ভেঙে দেয়। এই ঘটনার পর আতঙ্কে তাদের গোটা পরিবার।
টার্জেনের স্ত্রী সুকরুনা বিবি বলেন, “আমার স্বামী ওড়িশায় কাজে গিয়েছিলেন। বাংলায় কথা বলায় স্বামীকে মারধর করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করছি। সাহায্যের জন্য কাটোয়া তৃণমূলের বিধায়কের কার্যালয়ে এলে টার্জেনের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন বিধায়ক।