আরও পড়ুনঃ বইয়ের নেশায় বিভোর! বিকেল হতেই ৮ থেকে ৮০ সকলেই ছুটে আসছেন ‘এই’ লাইব্রেরিতে! কী এমন রয়েছে গ্রন্থাগারে?
মহলের প্রতিটি ঘরের মুখোমুখি জানালা এবং নিচ দিয়ে গজগিরি পুকুর থেকে বাইরের পরিখায় জল প্রবাহের ব্যবস্থা ছিল। এই মহলটির নাম দেওয়া হয় দার-উল-বাহার যা হাওয়া মহল। মুখোমুখি জানালা এবং নিচ দিয়ে প্রবাহিত জলের ধারা মহলকে সব সময়ই ঠান্ডা রাখত। গ্রীষ্মকালের দুপুরগুলোতে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এই মহলে যেতেন রাজা এবং রাজার পরিবারের সদস্যারা। এই মহলটি বর্ধমান শহরের গোলাপবাগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিদ্যাসাগরের জন্মভূমিতে এ এক ‘আজব’ স্কুল! শিক্ষক-শিক্ষিকা আছে অথচ নেই পড়ুয়া, কেন জানেন?
রাজ আমলে ওই প্রসাদের ঠিক সামনে ছিল গোলাপের বাগান পরে লোক মুখে এই এলাকার নাম হয় গোলাপবাগ। ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ জানান, রাজা তেজচাঁদের আমলে তৈরি এই মহল। গ্রীষ্মকালে রাজা বেশিরভাগ সময়ই দার্জিলিংয়ের বাড়িতে থাকতেন কিন্তু রাজকার্যের জন্য যখন বর্ধমানে থাকতে হত তখন তিনি এই মহলেই থাকতেন। মহলের চারদিক দিয়ে হাওয়া প্রবাহ হয় বলে এই দার-উল-বাহারকে অনেকেই হাওয়া মহল বলেন। বর্তমানে পুরো এলাকাটিকে গোলাপবাগ বলা হলেও এক একটি জায়গার এক একটি নাম রয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে এই ঐতিহাসিক গ্রীষ্মাবাসটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা ছাড়াই এটি কীভাবে শীতল থাকত, তার নির্মাণশৈলী সত্যিই মুগ্ধ করার মতন। এটি কেবল একটি পুরোনো স্থাপত্য নয়, বরং এটি বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের এক অনন্য নিদর্শন, যা সেই সময়ের রাজকীয় জীবনযাত্রা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের পরিচয় বহন করে।