শনিবার রাতে বর্ধমান শহরের গোলাহাটে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে গুলি চালানোর অভিযোগে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৪-৫ রাউণ্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ রহমানের। অন্যদিকে ওই ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, আত্মরক্ষার জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক থেকে এক রাউণ্ড শূণ্যে গুলি চালানো হয়। উত্তেজিত জনতা বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করতে উদ্যত হয়ে উঠেছিল। তাই নিরাপত্তারক্ষী শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালাতে বাধ্য হন।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পুকুর ভরাটের অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রদীপ রহমান ও তাঁর অনুগামীদের সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ী সাবির আলি সেখের অশান্তি বেশ কয়েক দিন ধরেই চলছিল।প্রদীপ রহমানের অভিযোগ, সাবির আলি তাঁর বাড়ি লাগোয়া পুকুর ভরাট করায় স্থানীয় মানুষজন পুরসভা ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ জানানোয় সাবির আলির পক্ষ থেকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল।
প্রদীপ রহমানের অভিযোগ, তাঁর মামা সানে আলম রাতে পার্টি অফিসের মিটিং শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় সাবির আলির পরিবার তাঁকে গালিগালাজ করে ও হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করলে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পার্টি অফিসের অনান্য তৃণমূল কর্মীরা পৌঁছালে সাবির আলির বাড়ি ৪ থেকে ৫ রাউণ্ড গুলি চালানো হয়।
অভিযোগ, বাইরে থেকে নিয়ে আসা দুস্কৃতিরা গুলি ছোড়ে। তাদের মারধরে দুজন জখম হয় বলে দাবি প্রদীপ রহমানের। সাবির আলির পরিবার পুকুর ভরাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের দাবি, “কয়েক দিন আগে প্রদীপ রহমান ও তাঁর অনুগামীরা আমাদের জায়গা দখল করার চেষ্টা করলে আমরা প্রতিবাদ করি।প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর চড়াও হলে আমরা বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানাই। থানায় অভিযোগ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রদীপ রহমানের মামা ও তাঁর অনুগামীরা আমাদের গালিগালাজ করে। হুমকি দেয় ও পরিবারের লোককে মারধর করে। বাড়ির ওপর চড়াও হয়ে ইঁট,পাথর ছুড়তে শুরু করলে আত্মরক্ষার জন্য আমাদের বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী তাঁর বন্দুক থেকে শূণ্যে এক রাউণ্ড গুলি চালায়”।
