মাধবডিহি থানার ফতেপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।ঘটনায় ১২ টি ট্রাকটর,২ টি জেসিবি মেশিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,ফতেপুর এলাকায় মুণ্ডেশ্বরী নদী থেকে জেসিবি দিয়ে বালি কেটে ট্রাকটরে বোঝাই করার সময় মাধবডিহি থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ টি বালি ভর্তি ট্রাকটর ও ২ টি জেসিবি মেশিন আটক করে।পাশাপাশি নদীবক্ষ থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার তাদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন - Durga Puja 2022 Beauty Tips: চাই চকচকে স্কিন, পুজোয় কামাল করতে এই ভাবে সরিয়ে ফেলুন অবাঞ্ছিত রোম
বর্ষাকালে জেলার সমস্ত নদনদী থেকে বালি তোলার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরেও মাধবডিহি থানার অন্তর্গত বড়বৈনান গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর এলাকায় মুন্ডেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ চালাচ্ছিল কিছু বালি মাফিয়া। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাধবডিহি থানার ওসি উত্তাল সামন্তের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী রাতেই এলাকা ঘিরে ফেলে অভিযানে নামে। কয়েকজন পালিয়ে গেলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় পাঁচ জন বালি কারবারি। বাজেয়াপ্ত করা হয় দুটি জেসিবি মেশিন সহ ১২টি ট্রাক্টর। ধৃতদের সোমবার বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - ‘কোহলি- ধোনির পুজো বন্ধ হোক’ - নিদান হাঁকলেন গৌতম গম্ভীর, দাগলেন বড় তোপ
সূত্রের খবর, সরকারি নির্দেশ কে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শাসকদলের স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার মদতেই এই বালি তোলার কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁবু খাটিয়ে রীতিমত ভাত, মাংস রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেখানে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতেই হানা দেয় মাধবডিহি থানার পুলিশ। ওসির নেতৃত্বে এলাকা ঘিরে ধরপাকড় শুরু করা হয়। যদিও আচমকা এই পুলিশি অভিযানে হকচকিয়ে যায় বালি মাফিয়াদের গ্যাং। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালির এক কারবারী বলেন,‘আমরা সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম এক নেত্রীকে। তার কথাতেই আমরা ভরসা করে বালি তোলার কাজ শুরু করেছিলাম। তিনি আমাদের বলেছিলেন পুলিশের সঙ্গে সেটিং করে নেওয়ার জন্য। আসলে তিনি যে কিছুই করেননি সেটা পুলিশের এই অভিযানেই পরিস্কার। এখন ফেঁসে গেলাম আমরা।’
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন,” অবৈধ কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে বালির কারবারের সঙ্গে যুক্ত কেউ বেআইনি কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। পুলিশ তাই করেছে। এখন গ্রেফতার হওয়ার পর কে কি অভিযোগ করছে তার কোনো সত্যতা নেই। প্রমাণ থাকতে হবে। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে।”
Saradindu Ghosh