DPSC-র নেওয়া পদক্ষেপের কোনও মান্যতা নেই বলেও সাফ জানিয়ে দিল আদালত। ডিপিএসসির দেওয়া বদলি-সহ অন্য পদক্ষেপ অবৈধ বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। সোমবার এমনটাই রায় ঘোষণা বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজে’র। প্রাথমিক শিক্ষক নীলাঞ্জনা মাইতি’র বদলি বাতিল করে এই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদকে(DPSC) কে আইনি অস্তিত্ব নেই বলে ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এক বদলি সংক্রান্ত মামলায় এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
বিচারপতি নির্দেশ, যেহেতু ২০১৫ সাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের পুনর্গঠন করা হয়নি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সদস্য পদে নতুন করে সদস্য মনোনয়ন করা হয়নি, সেই ক্ষেত্রে কোনও শিক্ষকের আইনত বদলির নির্দেশ দিতে পারে না ডিপিএসসি।
উল্লেখ্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিপিএসসি সচিবের বদলির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন পূর্ব মেদিনীপুর কসবা শীতলা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা নীলাঞ্জনা মাইতি। তাঁর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিম জানান, ২০১৫ সাল পরবর্তী সময়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিপিএসসিতে (জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ) সচিব থাকলেও আইন অনুযায়ী কোনও সদস্য নেই।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের অভিযোগ, সেই ক্ষেত্রে ১৯৭৩ সালের প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী সংসদের সদস্য না হয়ে সচিব আইনত কোনও বদলির নির্দেশ দিতে পারেন না তিনি।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ও গোপা বিশ্বাস আরও জানান, মোট ৪৪ জন সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয় ডিপিএসসি। তাতে বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পুরসভার কাউন্সিলররা থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ২০১১ সালে শেষবার গঠন করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ডিপিএসসি এবং আইনানুগ চার বছর পর ২০১৫ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
নিয়ম অনুযায়ী শূন্য সদস্যপদে নতুন সদস্য মনোনীত করার আইনি বিজ্ঞপ্তি (গেজেট) প্রকাশ করতে হয়। আইনজীবীর অভিযোগ বর্তমানে কোনও আইনি বৈধতাই নেই ডিপিএসসির। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয় অনেক জেলাতেই একই রকম সমস্যা রয়েছে। ৩২০০০ চাকরি বাতিল মামলায় নিশ্চিত ভাবে এর প্রভাব পড়তে পারে বলেও দাবি আইনজীবীর।