এই জেলায় ত্রিশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তথ্য পোর্টাল থেকে উধাও হয়ে যাওয়ায় সমীক্ষা করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত বাসিন্দারা আদৌ বাড়ি পাবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি লিখেছেন। উধাও হয়ে যাওয়া ৪৪ হাজার আবেদনকারীর তথ্য পুনরায় নথিভুক্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ভাল লাগছে', এক সিদ্ধান্তেই পাল্টে গেল অনুব্রত মণ্ডলের মুড! কী এমন ঘটল?
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ৩০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পূর্ণ তথ্য অমিল। এর মধ্যে গলসি দুই নম্বর ব্লকের সম্পূর্ণ তালিকা পোর্টাল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। তেমনই পূর্বস্থলী ২ ব্লকের অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আবেদনকারীদের তথ্য পাওয়া যায়নি। আউশগ্রাম এক নম্বর ব্লকের আউশগ্রাম, বিল্লগ্রাম,দিকনগর ১ ও ২, গুসকরা ২, উক্তা পঞ্চায়েতের আবেদনকারীদের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। গলসি দুই ব্লকের আদড়া, ভুড়ি, গোহগ্রাম, গলসি, খানো, কুরকুবা, মসজিদপুর, সাঁকো, সাটিনন্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের তথ্য পোর্টালে নেই।
আরও পড়ুন: ভোরে গাড়ি থামাতেই হঠাৎ গুলি, বাগনানে মহিলার মৃত্যুতে বিরাট রহস্য
একই সমস্যা দেখা দিয়েছে ভাতারের ক্ষেত্রেও। ভাতারের বলগোনা ও বড় বেলুন দুই, কাটোয়া দুই ব্লকের অগ্রদ্বীপ গাজিপুর, জগদানন্দপুর, পলসোনা, শ্রীবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তথ্য নেই। তেমনি পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ঝাউডাঙ্গা, কালেখাঁতলা এক ও দুই, মেড়তলা,পাটুলি, পিলা ও পূর্বস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের আবাস যোজনায় আবেদনকারীদের কোন তথ্য পোর্টালে নেই।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কী কারণে পোর্টালের তথ্য উধাও হয়ে গিয়েছে তা সঠিকভাবে কারও জানা নেই। জেলার ২১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৮৫ টি তে আবাস প্লাস যোজনার কাজ শুরু করা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, একই ব্লকের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তথ্য থাকলেও অন্যান্য পঞ্চায়েতগুলি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও আবার সম্পূর্ণ ব্লকের কোনও তথ্যই পাওয়া যায়নি। এখন জেলা প্রশাসন কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর তাকিয়ে রয়েছে।