পরম্পরা মেনে পূর্বপল্লীর মাঠে শুরু হয় পৌষ মেলা। আর শুরুতেই সেটা হয়ে দাঁড়ায় এক মিলনক্ষেত্র। দীর্ঘ প্রায় চার বছরের রাগ-অভিমান মুছে ধুয়ে সাফ হয়ে যায় এ বছর। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলে একত্রিত হয় এই পৌষ মেলার উপলক্ষে। তবে প্রত্যেক বছর আন্তর্জাতিক পৌষ মেলার খ্যাতি পায় এই মেলা। তবে এবার সেটি ‘আন্তর্জাতিক’ মেলা নয়। নেপথ্যে কারণ হিসেবে জানা গেছে বাংলাদেশের সমস্যা।ওপার বাংলার কোনও স্টল এবার আসেনি পৌষমেলায়৷
advertisement
শুধু এটাই নয়, নেপাল, ভুটান প্রভৃতি দেশের স্টলও আসেনি এবারের মেলায়। তবে সব মিলিয়ে প্রায় ১৮০০ স্টলে বছর বসানো হয়েছে। সদ্যই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে বোলপুর শান্তিনিকেতনে। আর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর এই প্রথম ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা আন্তর্জাতিক নয়। তবে সকলেরই আশা আগামী বছর পৌষমেলা আবার আন্তর্জাতিক তকমা ফিরে পাবে।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করেছে এ বছর। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, “পৌষমেলা এবার আন্তর্জাতিক হয়নি, যেহেতু ওপার বাংলায় একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের স্টল আসেনি। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি নেপাল, ভুটানের স্টলও আসেনি এতে খারাপ লাগা আছে। কিন্তু, ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা চলছে।”
জানা যায়, প্রসঙ্গত ১৮৪৩ সালে রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের কাছে ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই দিনটি স্মরণে রাখতে ৭ পৌষ শুরু হয়েছিল ‘পৌষ উৎসব’। পরবর্তীতে, ১৮৯১সালে ব্রহ্ম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সেই বছর, অর্থাৎ ৭ পৌষ একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। ১৯৯৪সাল থেকে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ডিড অনুযায়ী শুরু হয় পৌষ উৎসব ও পৌষমেলা।
সৌভিক রায়