আরও পড়ুনঃ ভারত বাংলাদেশ বিথারী সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ! তারপর যা হল যুবকের
আর এ ধরনের নকশা করতে গেলে এটেল মাটি দরকার হয় কিন্তু সে ক্ষেত্রেও রোদে কিংবা ঘন বর্ষায় আগুনের তাতে শুকাতে গেলে ফেটে যায় সৌখিন ডিজাইন কিংবা সু বিশাল আকৃতির মূর্তি। তবে পাটের আঁশ মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করলে সে সম্ভাবনা থাকে না আবার ওজনেও হয় হালকা। যদিও প্রাথমিকভাবে বিচুলি ব্যবহার করা হয় কিন্তু তার পরে যে মাটি লাগানো হয় ১০-১৫ কিংবা ২০ ফুট উচ্চতা দুর্গা প্রতিমা মাটি দিয়ে প্রস্তুত করলে ওজন দাঁড়িয়ে যায় প্রায় দু টনের কাছাকাছি। যা বহন করতে গিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণেই ইদানিং এই পাটের আঁশ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে অনেকটাই।
advertisement
তবে সে ক্ষেত্রে পাটকাঠির গায়ে লেগে থাকা ফেঁশো কিংবা বাতিল পাট দিয়ে হয় না তাই বাজার থেকে উৎকৃষ্ট মানের লম্বা পাট উপযুক্ত দামে কিনে তার টুকরো টুকরো করে কেটে তুলোর মতন ফাটিয়ে সেই আঁশ ব্যবহার করা হয় মাটি মাখার সময়। নদিয়ার শান্তিপুর শ্যামবাজার সৌরাজ বিশ্বাসের কারখানায় ইতিমধ্যেই সুউচ্চ ২১ টি দুর্গা প্রতিমা প্রস্তুত করা হয়ে গেছে যার মধ্যে কোনটি যাবে ব্যাঙ্গালোর কোনটি বা ভিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কলকাতাও আছে আবার শান্তিপুরের রয়েছে।কারখানা থেকে জানা গেছে উপকরণ হিসেবে বাঁশ কাঠ দড়ি সুতুলি বিচুলি রং তুলি এমনকি পাটের দামও যথেষ্ট চড়া তাই নির্মাণ খরচও বাড়ছে। তবে অনেকেরই ধারণা থাকতে পারে মাটি পাওয়া যায় বিনামূল্যে কিন্তু তা নয় বরং উল্টোটা, বর্ষার মধ্যে মাটিরও দাম বেড়েছে যথেষ্ট। আর এই সব মিলিয়ে প্রতিমা নির্মাণে লভ্যাংশ কমেছে বলেই জানাচ্ছেন প্রতিমা নির্মাণের শিল্পীরা।
মৈনাক দেবনাথ