সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি আলুর দাম এতটা বেশি কেন সেটা নিয়ে আগে থেকেই খোঁজখবর নিয়েছিলেন। আলু ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে যারা এসেছিলেন তারা এবং লোকেদের সঙ্গে আলোচনার সময় মুখ্যমন্ত্রী জানান, নতুন আলু ওঠার সময় হয়ে গিয়েছে। এখনও প্রচুর আলু মজুত রয়েছে । সেগুলো বাজারে ছেড়ে দিলে তাহলে মানুষ ১৫-১৬ টাকা আলু কিনতে পারে। আশ্চর্যের বিষয় আমাদের যেখানে প্রয়োজন ১০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু। সেখানে কোল্ড স্টোর গুলি মিলিয়ে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু মজুত রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাকি ১০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু অতিরিক্ত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন- জিও ট্রু ৫জি-র হাত ধরে এগিয়ে রয়েছে বাংলা, ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে; অঙ্গীকার সংস্থার
সূত্রের খবর, একশ্রেণীর আলুর আড়ৎদার, নামে-বেনামে আলুর বন্ড কিনে রেখেছে। তারা সেই বন্ড ছাড়ছে না। যার ফলে আলুর দাম অনেকটা বেড়ে রয়েছে। অন্যদিকে আলুর চাষিরা ভেবেছিল গত মাসে ঝড় ও বন্যা হলে আলু ব্যবসায়ীরা বেশ মুনাফা লুটবে। সেটা হয়নি। সারা বছরে আলু ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণে মুনাফা লুটেছে, তবুও নতুন আলু ওঠার মুখেও একই ধরনের মুনাফা লড়তে চাইছে। যার ফলে আলু কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন বিত্তদের। অন্যদিকে এইভাবে আলু মজুত রেখে একটা সময় আলু ব্যবসায়ীরা এবং চাষিরা সরকারকে বাধ্য করে আলু কেনার জন্য। সেই আলু সুফল বাংলার মাধ্যমে সরকার ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই প্রথাতে সরকারের অনেকটা ক্ষতিও হয়।