#পূর্ব বর্ধমান: নতুন আলু বাজারে আসায় বাধ সাধল অকাল বৃষ্টি। এমনটাই আশঙ্কা করছেন রাজ্যের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষি দফতর। এই বৃষ্টির ফলে আলুতে নাবি ধসা রোগের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে শীতকালীন সবজিতেও।
বাজারে আলুর কেজি প্রতি দাম ২৫ টাকা। নতুন আলু না ওঠা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই। জানুয়ারি মাসের শেষে সেই আলু ওঠার কথা। টানা কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা ও তারপর বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টি সেই আলুর ক্ষতি করতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি দফতর। তাদের আশঙ্কা সত্যি হলে আলুর ফলন মার খাবে। তাতে আলুর দাম কমার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
advertisement
গত বার পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার আলু চাষ হয়েছে । এবার এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কালনা, মেমারি, বর্ধমানের শক্তিগড়ে ব্যাপকভাবে জলদি জাতের আলু চাষ হয়। সেই জলদি আলু অন্যান্যবার জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে চলে আসে। এবার বুলবুলের কারনে চাষ দেরি হওয়ায় তা জানুয়ারি মাসের শেষে বাজারে আসার কথা ছিল। কিন্তু কুয়াশা ও বৃষ্টির জেরে সেই আলুর ফলন মার খেতে পারে।
কৃষকরা বলছেন, জলদি আলু এই সময়েই দ্রুত বাড়ে। এবার দেরীতে হলেও জাঁকিয়ে শীত পড়ায় ফলন ভাল হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে বাধ সেধেছে প্রতিকূল আবহাওয়া।
জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, জলদি আলুর পাশাপাশি যে আলু বসানো হয়েছে তাতে এই বৃষ্টি যথেষ্টই ক্ষতি হতে পারে। জলদি আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখন যে আলু বসানো হয়েছে তাতে নাবি ধসা রোগ দেখা দিতে পারে। ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিতে পারে লংকা, বেগুন, টমেটো চাষেও। ক্ষতি হবে ফুলকপিরও।
কৃষি দফতরের পরামর্শ, রোদ ওঠার পরই জমিতে ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে হবে। এখন যত তাড়াতাড়ি রোদের দেখা মিলবে ততই ভাল।