প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রীর সভার ৪৮ ঘণ্টা আগেই মেদিনীপুর শহর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সম্বলিত দাদার অনুগামীদের বেশিরভাগ ব্যানার। শহরের রিং রোড থেকে অলিগলি কার্যত মুড়ে ফেলা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার, হোর্ডিং, ব্যানারে। সেই হোর্ডিং, ব্যানারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকলেও স্থান পায়নি শুভেন্দু অধিকারীর ছবি। প্রায় একুশ হাজার দলীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয় শহর থেকে শহরতলি। রবিবার রাত পর্যন্ত শহরের কোথাও শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার, ব্যানার দেখা না গেলেও সোমবার সকালে শহরের এলআইসি মোড়, লাইব্রেরি রোড সহ একাধিক জায়গায় চোখে পড়ল শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার, ব্যানার।
advertisement
কোথাও কোথাও মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে লাগানো ব্যানার, পোস্টারের গায়ে গায়েই লাগানো হয়েছে শুভেন্দুর সমর্থনে পোস্টার৷
প্রসঙ্গত, এখনও ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভায় শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি থাকছেন না অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যই। কারণ শুভেন্দু অধিকারীর মা বেশ িকছুদিন ধরেই অসুস্থ৷ তার উপর শুভেন্দুর বাবা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সাংসদ শিশির অধিকারীর পায়েও অস্ত্রোপচার হয়েছে৷ ফলে তিনি সভায় যাবেন না বলে জানিয়েছেন৷ অন্যদিকে শুভেন্দুর ভাই এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জেলার বাইরে রয়েছেন৷ ফলে তাঁরও এই সভায় থাকার সম্ভাবনা নেই৷ শুভেন্দুর আর এক ভাই এবং কাঁথি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রধান সৌম্যেন্দু অধিকারীরাও সভায় না থাকার সম্ভাবনা বেশি৷
এরই মধ্যে মেদিনীপুর জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই ব্যানার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা!
Sujit Bhowmik