পোস্টারে লেখা, ‘দেগঙ্গা দু’নম্বর ব্লকের ভেড়ির থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা আদায় করা, ইটভাটা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা আদায় করা, পঞ্চায়েত থেকে কাঠমানি আদায় করে হাড়োয়া বিধানসভার নতুন বিধায়ক রবিউল ইসলাম’। ‘হাড়োয়া বিধানসভার নতুন বিধায়ক রবিউল ইসলাম লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেগঙ্গা ব্লক, হাড়োয়া ব্লক, বারাসাত ২ নম্বর ব্লক, পুরনো ব্লক সভাপতিদের বাদ দিয়ে নতুন ব্লক সভাপতি করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছে’।
advertisement
কোন পোস্টারে উল্লেখ, ‘নতুন বিধায়ক হবার পর থেকে ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক দল তৈরি করে দলের মধ্যে গ্রুপ বাজি করিয়ে নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী বিধায়ক তুমি জবাব দাও’।
‘দেগঙ্গা ১ নম্বর পঞ্চায়েত দোগাছিয়া ও হাসিয়া গ্রামে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করার জন্য দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদেরকে দিয়ে গ্রামবাসিদের হকের লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করছ কেন বিধায়ক তুমি জবাব দাও’। ‘হাড়োয়া বিধানসভার তোলাবাজি বিধায়ক রবিউল ইসলাম আইপ্যাকদেরকে টাকা দিয়ে দেগঙ্গা ব্লকের সভাপতি করার জন্য কৃষ্ণর নাম পাঠানো হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। আইপ্যাক তুমি জবাব দাও’।
আরও পড়ুনঃ পুরসভার টাকা মেরে পকেট ভরছিলেন অস্থায়ী কর্মী! বাগিয়েছেন কয়েক লক্ষ, অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল
পঞ্চায়েত স্তরে নেতাদের পদ পাইয়ে দেওয়া, একাধিক পঞ্চায়েতে দলের মধ্যে একাধিক গ্রুপ তৈরি করে নিজের সুবিধা আদায় করা, এই ধরনের একাধিক পোস্টার লক্ষ্য করা যায় দেগঙ্গা ও হাড়োয়া বিধানসভা এলাকায়। কিন্তু কে বা কারা এই পোস্টর রাতের অন্ধকারে মেরেছে তা জানা যায়নি।
আগামীকাল মঙ্গলবার বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা নিয়ে বৈঠক রয়েছে। সেখানে একাধিক ব্লক সভাপতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তার আগেই এই পোস্টার, মা ঘিরে বিতর্ক। দলকে জানানো হয়েছে পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে কে বা কারা এই কাজ করেছে।