ডোমজুড় বিধানসভা এলাকার বাঁকড়া এলাকায় লাগানো ওই পোস্টারে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে বলা হয়েছে, সারা বছর সাধারণ মানুষের জন্য কোনও কাজ করেননি কল্যাণ ঘোষ৷ কিন্তু সলপ-এ হাইওয়ের ধারে নিজের প্রভাব খাটিয়ে দশটি বড় জমি দখল করে নিয়েছেন তিনি৷ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দের নামেই এই পোস্টার পড়ায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কারও নির্দেশে কোনও নির্দোষকে বলি দেবেন না’, রাজীব ডিজি হতেই বিস্ফোরক কুণাল
২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পর পর দু বার ডোমজুড় থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে যিনি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন৷ যদিও ডোমজুড় থেকে ভোটে লড়ে এই কল্যাণ ঘোষের কাছেই পরাজিত হতে হয় রাজীবকে৷ পরে অবশ্য ফের তৃণমূলে ফেরেন তিনি৷
এ দিনের পোস্টার কাণ্ডে নাম না করেই নিজের পূর্বসূরীর দিকে আঙুল তুলেছেন ডোমজুড়ের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক৷ কল্যাণ ঘোষ বলেন, পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে আমি নাকি দশটা জমি দখল করে রেখেছি৷ জমি দূরে থাক, এক ধুলোকণা দখল করেছি প্রমাণ করতে পারলেও রাজনীতি করা ছেড়ে দেবো৷ ২০১১ সাল থেকে দশ বছর ডোমজুড় শুধু নয়, পাশের জগৎবল্লভপুর এলাকাতেও তোলাবাজি, সিন্ডিকেটের রমরমা ছিল৷ আমি বিধায়ক হওয়ার পর তার নব্বই শতাংশ বন্ধ করে দিয়েছি৷ সেই যন্ত্রণা থেকেই কেউ বা কারা এসব করে থাকতে পারে৷
এর পরেই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি বলেন, বেশ কিছু তোলাবাজ আছে এলাকায় ঢুকতে পারে না৷ তারাই এসব করে বেড়ায়৷ কল্যাণ ঘোষের আরও দাবি, কারা এই পোস্টার লাগিয়ে তাঁর নামে কুৎসা ছড়িয়েছে তা জানতে পুলিশের অভি়যোগ দায়ের করবেন তিনি৷ প্রসঙ্গত গত বছরও এই সময়ই ডোমজুড়ে কল্যাণ ঘোষের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ সহ পোস্টার পড়েছিল৷