কিছুদিন আগেই হলদিয়া বন্দরের এক কর্মী আক্রান্ত হন করোনায়। তার জেরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল গোটা বন্দর জুড়ে। ভয় কাটাতে বন্দর চেয়ারম্যান বৈঠক করেন সব পক্ষের সঙ্গে। তার পরেই ফের কাজে যোগ দেন কর্মী, আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের যে সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে হটস্পট হিসেবে তাদের মধ্যে অন্যতম হল হলদিয়া। ফলে বন্দরের কর্মী যারা রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের চিন্তা বেড়েছে। যদিও হলদিয়া বন্দরের কাজে ব্যঘাত ঘটলে অত্যাবশকীয় পণ্য ওঠানো নামানোর জন্য সমস্যা শুরু হবে। তার প্রভাব পড়তে পারে বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়াম শিল্পের ওপরে। তাই বন্দরের কর্মীদের সচেতন করে তাদের সাহস জোগাতে গান গেয়ে গেয়ে কাজ করছেন বন্দরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
advertisement
স্যানিটাইজার, গ্লাভস, মাস্ক ব্যবহার করলে করোনা সংক্রমণের ভয় যে অনেকটা কম গানের ছত্রে ছত্রে তারা তুলে ধরেছেন। তবে প্রতিদিন বন্দরের সকলের নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে। অন্যদিকে কলকাতা বন্দরের কর্মী ও আধিকারিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আগে জীবাণুনাশক চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। সকলের জন্য এটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কী এই জীবাণুনাশক চ্যানেল? একটি জায়গা মোটা প্লাস্টিকের চাদর দিয়ে চারদিকে ঢেকে রেখে একটা ঘরের আকার দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বসানো হয়েছে শাওয়ার। সেখান থেকে জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে এক মিনিট সময়ের মধ্যে দিয়ে শুধু হাত নয়, পোশাক থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই জীবাণুনাশক করে ফেলা হচ্ছে। বন্দরের একাধিক পয়েন্টে এই ব্যবস্থা চালু হতে পারে আগামিদিনে। অন্যদিকে এবার বন্দরে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হল স্বাস্থ্য পরীক্ষা। আধিকারিক থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে তাদের রিপোর্ট। বন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।