TRENDING:

West Bengal News: স্কুল খুললেও ব্ল্যাকবোর্ডে নয়, পড়ুয়াদের চোখ ক্লাসরুমের কড়ি বরগায়! কিন্তু কেন?

Last Updated:

West Bengal News: বহু বিপ্লবীর স্মৃতি বিজড়িত বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী রাজ কলেজিয়েট স্কুল অবিলম্বে সংস্কারের দাবি উঠছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ভেঙে পড়ছে চাঙর, কড়ি বরগা। যেকোনো সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে প্রাচীন স্কুল বিল্ডিং। তাই ১৬ নভেম্বর স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক-অভিভাবক সকলেই। বহু বিপ্লবীর স্মৃতি বিজড়িত বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী রাজ কলেজিয়েট স্কুল অবিলম্বে সংস্কারের দাবি উঠছে।
স্কুল খুললেও বিড়ম্বনা
স্কুল খুললেও বিড়ম্বনা
advertisement

বর্ধমান রাজ পরিবারের উদ্যোগে ১৮১৭ সালের ৬ জানুয়ারি স্থাপিত হয়েছিল বর্ধমানের রাজ কলেজিয়েট স্কুল। এক সময়কার স্বনামধন্য এই স্কুল এখন দুশো চার বছর পার করে সংস্কারের অভাবে জীর্ণ।ঐতিহ্যবাহী স্কুলের ভবন বেহাল।ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে জানিয়েও  সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ।

বয়সের ভারে জরাজীর্ণ অবস্থা।পরতে পরতে ভাঙনের ছাপ স্পষ্ট।খসে পড়ছে কড়িবর্গা।কোথাও আবার ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে।দেওয়াল জুড়ে বট ও অশ্বথ গাছের শিকড় বেয়ে জল পড়ার দাগও স্পষ্ট। এমনই অবস্থা ২০৪ বছরের পুরানো পশ্চিমবঙ্গ তথা বর্ধমানের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুলের।

advertisement

আরও পড়ুন: BJP-র অন্দরে বিড়ম্বনা বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর, এবার পদত্যাগ হাওড়া জেলা সম্পাদকের!

একপ্রকার জীবন হাতে নিয়েই ভয় ও আতঙ্কে ক্লাস করছে ছাত্ররা।ভয় ও আতঙ্ক শিক্ষকরাও।ক্লাস চলাকালীন ব্ল্যাকবোর্ড বা বই  নয় ছাত্রদের চোখ থাকছে ছাদের দিকে।এই বুঝি ছাদ খসে পড়লো এই আতঙ্কেই সময় কাটছে।কখনও কখনও পরিস্থিতি বুঝে শ্রেণীকক্ষ ত্যাগ করে ছাত্র ও শিক্ষকদের বের হয় আসতে হয়।কয়েক দশকের এই চিত্র বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুলের।

advertisement

আরও পড়ুন: নরকগুলজার, BJP-তে শুধুই ঝগড়া আর টাকা চাওয়া! তৃণমূলে মুখপত্রে বিস্ফোরক গেরুয়া প্রার্থী

১৮১৭ সালের ৬ ই জানুয়ারী বর্ধমান রাজ কলেজিয়েট স্কুলের পথ চলা শুরু হয়। শিক্ষার প্রচার ও  প্রসারে জন্য স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন বর্ধমান মহারাজ তেজচন্দ্র মহতাব। ১৬ হাজার বর্গফুটের স্কুল ভবনের ঘরগুলির উচ্চতা ২৫ ফুট।মোট ২২ টি ঘরের মধ্যে এখন মোটামুটি ব্যবহারযোগ্য ১২ টি ঘর।প্রতিনিয়ত কমছে ঘরের সংখ্যা।ইতিমধ্যেই ২০০৯ সালে পূর্ত দফতরের (সামাজিক ক্ষেত্র)তরফে ভবনটি ব্যবহার ঝুকিপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে ও খালি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।যদিও ২০০৭ সালে ভবনটিকে হেরিটেজ তকমা দেয় রাজ্য হেরিটেজ কমিশন।স্কুলের এই জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে অনেকেই স্কুলে ভর্তি হচ্ছে না। এমনকি যারা ভর্তি হচ্ছে তারাও প্রাণভয়ে স্কুল ছাড়ছে।একসময় যে স্কুলে ১৮০০ পড়ুয়া ছিলো আজ তা কমে ৬৫০ হয়েছে।

advertisement

ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন বিপ্লবী রাসবিহারী ঘোষ,বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত, যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়,আচার্য যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি,অভিনেতা কমল মিত্র প্রমুখ। এমনকি এই স্কুলের  প্রধান শিক্ষক ছিলেন রামতনু লাহিড়ী। এই স্কুলে প্রায়শই আসতেন ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।বহুগুণীমানুষের স্মৃতিধণ্য এই ঐতিহ্যবাহী স্কুল ভবন  রক্ষা ও নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষক,ছাত্র, শহরের বাসিন্দারা সকলেই।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Bengal News: স্কুল খুললেও ব্ল্যাকবোর্ডে নয়, পড়ুয়াদের চোখ ক্লাসরুমের কড়ি বরগায়! কিন্তু কেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল