রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ গোপীবল্লভপুরের দহমুন্ডা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত যুবকের নাম করমা সিং (২৭)। বাড়ি বাবুডুমরো গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত করমা সিং গোপীবল্লভপুরের দিক থেকে হাতিবাড়ির রাস্তা ধরে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দহমুন্ডা এলাকায় প্রবল গতিতে উল্টো দিক থেকে একটি বালির গাড়ি আসছিল। সেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
advertisement
এই ঘটনার পরই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালি খাদানের দৌরাত্ম্য ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে। সুবর্নরেখার অবৈধ বালি খাদান থেকে বালি তোলার জন্য নিয়ম না মেনে জনবহুল এলাকার উপর দিয়ে গাড়িগুলো প্রবল গতিতে যেতে থাকে। গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বাংলা নিয়ে যাতায়াত করার অভিযোগও উঠেছে। আর তাই গোপীবল্লভপুরের রাস্তায় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে বলে স্থানীয়দের দাবি।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু এলাকার মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। তাঁরা দেহ আটকে পথ অবরোধ করেন। গোপীবল্লভপুর থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছলে পুলিশকে লক্ষ করে ঢিল ছুড়তে থাকে। পরে ঘটনাস্থলে আরও বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে পৌঁছন ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত সুপার (সদর) কল্যাণ সরকার। পুলিশ মৃদু লাঠি চালিয়ে ক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অবশেষে সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারে পুলিশ।
এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে ৬-৭ জন পুলিশকর্মী আহত হন বলে জানা গিয়েছে। যদিও ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সরকার বলেন, "পুলিশ লাঠি চার্জ করেনি। বিপুল পুলিশ দেখে বিক্ষোভকারীরা সরে যায়।জনতার ছোড়া ইটে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন।"