গরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চেয়েছিল ইডি৷ যদিও প্রথমে নিম্ন আদালত, তার পরে কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি৷
আরও পড়ুন: খোঁজ মিলল তিন 'নিখোঁজ'-এর, আন্দোলনের অন্যতম নেতারা বিধাননগর থানায় আটক
এর পরেই দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি৷ দিল্লির ওই আদালত সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য ইডি-কে অনুমতি দেয়৷ নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন সায়গল৷ যদিও নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে দিল্লি হাইকোর্ট৷ শেষ চেষ্টা হিসেবে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও সায়গলের আবেদনে সাড়া দেয়নি৷
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্গা পুজোয় ১২ দিন, কালী পুজোয় টানা ৯ দিন! ২০২৩-এ রাজ্য সরকারি কর্মীদের আরও লম্বা ছুটি
সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাইকোর্টের রায় বহাল রাখায় সায়গলকে ইডি-র হাতে তুলে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না৷ সেই মতো এ দিন বিকেল ৪.১৫ মিনিট নাগাদ সায়গল হোসেনকে নিয়ে দিল্লি রওনা দেয় পুলিশ৷ বিকেল ৪.১৫ মিনিট নাগাদ আসানসোল থেকে শিয়ালদহ- অমৃতসর বাঘ এক্সপ্রেসে সায়গলকে নিয়ে দিল্লি রওনা হন পুলিশকর্মীরা৷ আসানসোল জেলেই বন্দি ছিলেন সায়গল৷
পুলিশের একজন এসআই, একজন এএসআই এবং ছ' জন কনস্টেবল সায়গলের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন৷ সায়গল হোসেনকে ইডি দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পাওয়ায় অনুব্রত মণ্ডলের উপরেও নিঃসন্দেহে চাপ বাড়ল৷ কারণ প্রথম থেকেই ইডি এবং সিবিআই-এর অভিযোগ, গরু পাচারের বেআইনি কারবারে অনুব্রতর ডান হাত ছিলেন সায়গল৷