স্থানীয় রসপাল বাজার থেকে এক ব্যবসায়ী জিনিসপত্র চাপিয়ে নিজের টোটো করে গত সোমবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার বারিকুল থানার লেপাম গ্রামের ফিরছিলেন আদিবাসী যুবক সুশীল হেমব্রম। কিন্তু রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার দুপুরে লেপাম গ্রামের অদূরে ফুলকুশমা বারিকুল রাস্তার উপর থাকা আগইগোড়া সেচ খাল সেতুর কাছে জমিতে সুশীল হেমব্রমের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিংয়ে ধস! মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১! এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু
সুশীল হেমব্রমের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করেন পুলিশ ও পরিবারের লোকজন। মৃতদেহের কিছুটা দূরে থেকেই উদ্ধার হয় টোটোটি। বারিকুল থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে প্রথমে ফুলকুসমা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে মৃতদেহ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ অবৈধ সম্পর্কের তত্ব খুঁজে পায়। মৃত সুশীল হেমব্রম বারিকুল থানার মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ধৃত বিশ্বজিৎ মুর্মুর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জানতে পারে তদন্তকারীরা । সম্পতি বিষয়টি জানতে পারে বিশ্বজিৎ মুর্মু,তখন থেকেই স্ত্রীর প্রেমিক সুশীলকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করছিল বিশ্বজিৎ।
সোমবার রাতে সুশীলকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায় বিশ্বজিৎ, অস্ত্রের আঘাতে সুশীলকে খুন করে দেহ সেচখালে ফেলে নিজে গা ঢাকা দেয়। বারিকুল থানায় পুলিশ বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরে এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ মুর্মুকে গ্রেফতার করে। আজ ধৃতকে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করলে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ।