গত ২২ অক্টোবর রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না দারিয়াপুরে গ্রামের বাড়িতে খুন হন হাওড়ার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল। শরিকি সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে সুপারি কিলার নিয়োগ করে ওই ব্যবসায়ীকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই নিশ্চিত হতে পেরেছে পুলিশ।
রায়না দারিয়াপুর যাবার পথে কারালাঘাট সেতুর সি সি টিভি ফুটেজ দেখে সুপারি কিলারদের ব্যবহৃত টাভেরা গাড়িটি শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর কলকাতা থেকে সুপারি কিলার রিকি ও তার সঙ্গী সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাদেরকে দারিয়াপুরে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কেমন অবরোধ, ছাড় পেল না অ্যাম্বুল্যান্সও! কাতরাতে-কাতরাতে মৃত্যু শিশুর
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই খুনে ব্যবহৃত গাড়িটির হদিশ মিলল বলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুধুমাত্র খুনের জন্যই কয়েক মাস আগে ৬০ হাজার টাকায় পুরনো টাভেরা গাড়িটি কেনা হয়েছিল। ওই গাড়িতে করেই রিকি সহ ছয় দুষ্কৃতী দারিয়াপুর গ্রামে সব্যসাচী কে খুন করতে গিয়েছিল। গুলি চালানোর পাশাপাশি মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছিল ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে।
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলে ফিরবেন শুভেন্দু অধিকারী'! এবার বিস্ফোরক অভিযোগে সরব 'আদি' BJP নেতা
অপারেশন শেষ করার পর পরই প্রমাণ লোপাট করতে গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দুষ্কৃতীরা। খুনের চারদিন পর মাত্র কুড়ি হাজার টাকায় হুগলি শ্রীরামপুরের এক ব্যক্তিকে গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। সিসিটিভি-র ফুটেজে গাড়িটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। ধৃতদের জেরা করতেই গাড়ি কেনা ও বিক্রির বিষয়টি সামনে আসে।
