অনলাইন ব্যবসার আড়ালে চালানো হচ্ছিল জাল শংসাপত্র তৈরীর কাজ। বেশ কয়েকবছর ধরেই চালানো হচ্ছিল এই কারবার। ভাতারের বলগোনা বাজারের দোকানে হানা দিয়ে উদ্ধার ৫০টির বেশি জাল সিল, স্ট্যাম্প ও বেশ কয়েকটি জাল জন্ম শংসাপত্র। উদ্ধার হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জাল সিল, স্ট্যাম্প-সহ বিভিন্ন হাসপাতালের সিল। সেগুলি দিয়ে তৈরি করা হত জাল শংসাপত্র। এছাড়াও উদ্ধার হয় বিভিন্ন স্কুল-সহ ব্যাঙ্কেরও জাল সিল ও স্ট্যাম্প।
advertisement
তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ভাতারের পাটনা গ্রামের বাসিন্দা শেখ হাসনাত জামান। রবিবার ভাতার থানার পুলিশ শেখ হাসনাতকে গ্রেফতার করে। আদালতে পেশ করলে আদালত তাকে ২ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করে। ভাতার থানার পুলিশ হাসনাতকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। সেই অভিযানেই উদ্ধার হয় জাল সিল,স্ট্যাম্প ও জাল শংসাপত্র গুলি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,কয়েক মাস আগে ভাতারের বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম সেখ পাসপোর্ট তৈরির জন্য নথি জমা দেন। আনোয়ারা বেগমের দেওয়া বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইস্যু করা জন্ম সার্টিফিকেটটি জমা দিলে জেলা গেয়েন্দা দফতর তা যাচাইয়ের জন্য বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠালে মেডিক্যাল কতৃপক্ষ সার্টিফিকেটটি জাল বলে জানিয়ে দেয়। এরপরই গোয়েন্দা দফতরের তরফে ভাতার থানায় অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ভাতার থানার পুলিশ আনোয়ারা বেগম সেখকে গ্রেফতার করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শেখ হাসনাত জামানের নাম পায়।
তাকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল-সহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্কুল এবং ব্যাঙ্কের সিল ও স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি জাল শংসাপত্রও।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের বলগোনা বাজার এলাকায় একটি অনলাইন ব্যবসার দোকান রয়েছে। মূলত সেই দোকান থেকে প্রায় ছয় বছর ধরে জাল শংসাপত্র তৈরির কারবার চালাত শেখ হাসনাত জামান।