চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে৷ সাদাতপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ শুকদেব মাইতির বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে৷ ইতিমধ্যেই তাঁকে ক্লোজ করার পাশাপাশি একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: বিধায়ক নিখোঁজ, উত্তরপাড়ায় জুড়ে পড়ল পোস্টার! 'অশরীরী নই, বেঁচেই আছি', জবাব কাঞ্চনের
advertisement
যদিও প্রথমে ঘটনার কথা থানায় জানাতে গেলে পুলিশ বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেয় বলেও অভিযোগ আক্রান্ত পরিবারের৷ বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা৷
জানা গিয়েছে, সাদাতপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই একটি হোটেল চালান বছর চল্লিশের ওই অভিযোগকারী মহিলা৷ প্রায় সতেরো বছর ধরে ওই হোটেল চালাচ্ছেন তিনি৷ সেই সূত্রেই পুলিশকর্মীরা ওই হোটেলে নিয়মিত খাওয়াদাওয়া করতে যান৷ অভিযোগকারী মহিলার ছেলেমেয়েরাও পুলিশ ফাঁড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিত৷
আরও পড়ুন: স্থগিত নবান্নের বৈঠক, মুখোমুখি হচ্ছেন না শাহ- মমতা
এ বছর পুলিশ ফাঁড়ির কালী পুজোর জন্য সারাদিন ধরে উপোস করে অভিযোগকারী মহিলার ছেলে এবং মেয়ে৷ এর পর রাতে হোটেলেই বিশ্রাম নিতে যায় তারা৷ তাদের সঙ্গে আরও দুই বন্ধুও ছিল৷ অভিযোগ, মাঝরাতে শুকদেব মাইতি এবং কয়েকজন পুলিশকর্মী হোটেলে এসে তাদের উপরে চড়াও হয়৷ ওই মহিলার ছেলে এবং মেয়েকে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ লাঠিপেটা করা হয় অভিযোগকারী মহিলার ছেলেকে৷
ওই মহিলার অভিযোগ, কয়েকদিন আগে শুকদেব মাইতি নামে ওই পুলিশ আধিকারিক তাঁর দোকানে চা খেতে এসে তাঁর হাত ধরেন৷ তখন কোনওক্রমে হাত ছাড়িয়ে বাইরে চলে আসেন তিনি৷ মহিলার অভিযোগ, কুইঙ্গিতে সাড়া না দেওয়ার কারণেই তাঁর ছেলে এবং মেয়ের উপরে চড়াও হন ওই পুলিশ অফিসার৷
আরও অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে খড়্গপুর সদর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ওই মহিলা এবং তাঁর ছেলে মেয়েকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখে পুলিশ৷ বিষয়টি মিটমাট করে মামলা না করার জন্যও চাপ দেওয়া হয়৷ শেষ পর্যন্ত বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এবং মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বললে অভিযোগ নেয় পুলিশ৷
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, সাদাতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ শুকদেব মাইতিকে ক্লোজ করা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দেরও অভিযোগ, ওই পুলিশ অফিসার এলাকার দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকে অনেকের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেছেন৷