কোনও গোয়েন্দা তথ্য নয়। জঙ্গিদের ভুলেই সামনে এসেছিল বর্ধমানের খাগড়াগড়ে, জেএমবি জঙ্গিদের আস্তানা। এবার বাংলার আরেক জেলা মুর্শিদাবাদে লুকিয়েও বড় ছক কষেছিল জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের জঙ্গিরা। কিন্তু খাগড়াগড়ের মতো সেই খবরও ঘুণাক্ষরে টের পায়নি পুলিশ-প্রশাসন। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম চাঁই কওসরকে ছিনতাইয়ের ছক কষেছিল জেএমবি। পুলিশের কাছ থেকে কওসরকে ছিনিয়ে নেওয়ার ছক ছিল। তার আগেই অবশ্য মুর্শিদাবাড়ের পূর্বপাড়ার কূলগাছি থেকে দুই জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃত মশিবুর রহমান ও রাহুল আমিনকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যা ফের আঙুল তুলে দেখিয়ে দিল পুলিশ-প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকে।
advertisement
- কওসরকে ছাড়াতে অ্যাসিড বোমাও তৈরি করে ফেলেছিল জঙ্গিরা
- বোমা তৈরির দায়িত্বে ছিল মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা মশিবুর ও রাহুল
- মুর্শিদাবাদে ভাগীরথীর পাড়ে নির্জন জায়গায় বোমাগুলি ফাটিয়ে পরীক্ষা হয়েছিল
- প্রায় ১৫-২০টি বোমা পরীক্ষা করেছিল জঙ্গিরা
- তবে তা টেরই পায়নি পুলিশ-প্রশাসন
- এতগুলি বোমা ফাটানো হলেও কী ভাবে তা পুলিশ-প্রশাসনের নজর এড়াল?
- ধৃতদের স্বীকারোক্তির পর এই প্রশ্নই সামনে আসছে
কওসরকে বিহার থেকে ছিনতাইয়ের ছক কষেছিল জেএমবি। প্ল্যান বি তে ছিল কলকাতা। অপারেশনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে পটনা ও কলকাতায় হ্যান্ডলারদের কাছে অ্যাডিস বোমা পৌঁছে দেওয়া হত। তার আগেই অবশ্য এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে যায় মশিবুর ও রাহুল।