প্রথমে মারমুখী জনতার সামনে পিছু হটলেও পড়ে কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে এলাকার দখল নয়৷ ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার৷ পুলিশের উপরে হামলা এবং গাড়ি, বাইকে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়৷ সন্ধে পর্যন্ত থমথমেই ছিল ভাঙড়ের শোনপুর বাজার এলাকার পরিস্থিতি৷
এ দিন মৌলালিতে ওয়াকঅফ আইনের বিরোধিতায় সভার ডাক দিয়েছিল আইএসএফ৷ আইএসএফ প্রধান এবং দলের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির ওই সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল৷ আইএসএফ-এর অভিযোগ, সকাল থেকে তাঁদের কর্মী সমর্থকরা ভাঙড় থেকে ওই সভার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ৷ এ নিয়েই দু পক্ষের বচসা, ধস্তাধস্তিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ আইএসএফ সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ৷
advertisement
এর পরই নওশাদ সিদ্দিকি ঘোষণা করেন, এ দিনই ভাঙড়ের শোনপুর বাজারে সভা করবেন তিনি৷ সেই মতো শোনপুর বাজার এলাকায় ভিড় করতে শুরু করেন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা৷ শুরু হয় সভার কাজও৷ অভিযোগ, সভাস্থলে কেন পুলিশ থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশকর্মীদের উপরে চড়াও হন কয়েকজন আইএসএফ কর্মী, সমর্থকরা৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও করা হয় বলে অভিযোগ৷ ইটের আঘাতে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী৷ মাথা ফাটে কয়েকজনের৷ এর পরই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে চেহারা নেয়৷ আগুন জ্বলে ভাঙড়ে৷
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি অবশ্য বলেন, ‘যেখানে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে না সেখানে আইএসএফ থাকবে না৷ তবে আমাদের আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে ছ মাস, এক বছর এই আন্দোলন চালাতে হবে’