TRENDING:

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, তাসের আসরে নিজের রিভালবার দিয়ে গুলি চালাল পুলিশ, মৃত ২ ভাই

Last Updated:

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিধান নগরের এডিশনাল ডিসি-র দেহরক্ষী সন্তোষ পাত্র নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে খুন করে পলাতক ।তার সন্ধানে পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
RAJARSHI ROY
advertisement

#আমডাঙা: শুক্রবার রাতে উত্তর চব্বিশ পরগনার আমডাঙায় তারাবেড়িয়া পঞ্চায়েতর তেতুলতলা গ্রামে গুলিতে  খুন একই পরিবারের  দুই যুবক। অভিযোগ জমা পড়েছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।  পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত  বিধান নগরের এডিশনাল ডিসি-র দেহরক্ষী সন্তোষ পাত্র নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে খুন করে পলাতক ।তার সন্ধানে পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে।

advertisement

শুক্রবার রাতের জোড়াখুনের ঘটনায় নিহতেরা সম্পর্কে দুই ভাই। মৃতদের নাম সুমন্ত মন্ডল ও অরূপ মন্ডল। চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত মধ্য তিরিশের  ওই যুবকেদের বাবার মাছের ব্যবসা রয়েছে। এলাকাবাসীর প্রাথমিক অনুমান,  দুই ভাইকে সম্পত্তিগত কারণে খুন করেছে পুলিশকর্মী সন্তোষ পাত্র।  আমডাঙ্গা থানার পুলিশ  খুনের কার্য কারণ আরও সুনিশ্চত ভাবে জানতে  তদন্ত শুরু করছে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে,  তেঁতুলিয়ার ঠাকুরতলায় বসে জনা পাঁচেক যুবক তাস খেলছিল। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই সেখানে অন্ধকার থেকে গুলি চালায় সন্তোষ পাত্র। এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁঝড়া হয়ে যান দুই ভাই। নিহত যুবকদ্বয় তাসের গল্প করার  সময়  অন্ধকার থেকে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী  সন্তোষ পাত্র  সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘটিয়ে এলাকা ছেড়ে সহজেই সে পালায়।

advertisement

ঘটনায় প্রকাশ শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আমডাঙ্গার তেঁতুলিয়াতে এই গুলিচালনার  ঘটনা ঘটে । জানা গিয়েছে,  প্রথমে বাজির শব্দ ভাবলেও তেঁতুলিয়ার ঠাকুরতলায় এসে এলাকাবাসীরা চাপ চাপ রক্তের পাশে নিথর দেহ দু’টির শরীরে গুলির দাগ দেখতে পায়। এলাকাবাসীরাই আমডাঙ্গা থানায় খবর দেয়। রক্তাপ্লুত দুই যুবককে বারাসত হাসপাতালে  নিয়ে আসা হলে  তাঁদের একজনকে সঙ্গে সঙ্গে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।অপরজন অল্প সময়ের ব্যবধানে চিকিৎসা শুরুর আগেই  মারা যান।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

বারাসাতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ফোনে জানান,  জোড়াখুনের অভিযোগ জমা পড়েছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। তার সন্ধানে তল্লাশি জারি আছে। বারাসাত পুলিশ জেলার সুপার আরও জানিয়েছেন,  অভিযুক্ত সন্তোষ পাত্র নিহতদের আত্মীয় র কাছ থেকে জমি কিনে কয়েক বছর হল বাড়ি করেছেন সেখানে। বছর দুয়েক আগে সন্তোষ পাত্রর বিরুদ্ধে নিহতের সুমন্ত মন্ডল জেনারেল ডাইরি করেছিল আমডাঙ্গা থানায়। গতকাল সকালেও সন্তোষ ও সুমন্তের মধ্য কথা-কাটাকাটি হয়েছিল।  আজ সকালে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং নিহতের বাড়িতে যাওয়ার পথে বাধার পুলিশি শিকার হন। পরে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দু’জন নিহতের পরিবার প্রতি পাঁচ লাখ করে  টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, তাসের আসরে নিজের রিভালবার দিয়ে গুলি চালাল পুলিশ, মৃত ২ ভাই
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল