মাঝে ১০ ঘণ্টার ব্যবধান। তারই মধ্যে রাজ্যের দুই জায়গায় আক্রান্ত পুলিশ। প্রথমটি বর্ধমানের কেতুগ্রাম। দ্বিতীয়টি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ।
কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত কাঁদরা ফাঁড়িতে দলবল নিয়ে চড়াও হয় কাঁদরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান মিন্টু শেখ ৷ পুরনো একটি বোমাবাজির ঘটনায় স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ তারই প্রতিবাদে দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই মনোরঞ্জন বসাককে ফাঁড়ির মধ্যে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷ বাঁচাতে এলে আক্রান্ত হন দু'জন কনস্টেবলও ৷
advertisement
গুরুতর আহত অবস্থায় কনস্টেবল দীলিপকুমার নায়েককে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তারপরই মিন্টু শেখ সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। বুধবার সকালে কেতুগ্রামের সুলতানপুর থেকে নিরন আলি ওরফে নেপু শেখ এবং সাহেব শেখ নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন ধৃতদের ৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় কাটোয়া মহকুমা আদালত।
জলপাইগুড়ি আদালতের নির্দেশে রাজগঞ্জের মোহানপাড়ায় মহিলা নির্যাতনে অভিযুক্তদের ধরতে যায় পুলিশ।
- তখনই ১০-১২ জনের পুলিশ দলের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা
- হামলায় আহত হন ৪ পুলিশ কর্মী
- রাত ১২টা নাগাদ র্যাফ নিয়ে ফের গ্রামে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী
- সেসময় পুলিশ ও র্যাফ গ্রামবাসীদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ
- মহিলা ও শিশুদের মারধরেরও অভিযোগ ওঠে
-৬-৭টি বাড়ি বাড়ি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও তোলেন গ্রামবাসীরা।
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ চার গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় জলপাইগুড়ি আদালত।